মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৪:৪২:৪১

আইসিসির এমন সিদ্ধান্তে লাভ হলো পাকিস্তানের!

আইসিসির এমন সিদ্ধান্তে লাভ হলো পাকিস্তানের!

স্পোর্টস ডেস্ক: আইসিসির এমন সিদ্ধান্তে লাভ হলো পাকিস্তানের! ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি আগে জানিয়েছিল পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচটির উইকেট ছিল ‘বাজে’। 

যে কারণে পয়েন্টও কেটে নেয়া হয়েছিলো রাওয়ালপিন্ডি উইকেটের। কিন্তু পাকিস্তানের আপিলের পর আইসিসি নতুন করে সিদ্ধান্ত জানালো, রাওয়ালপিন্ডির সেই উইকেট খারাপ ছিল না। যে পয়েন্ট কাটা হয়েছিল তা ফিরিয়ে দিয়ে, যে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছিলো, সেটা বাদ দেয়া হয়েছে।

গত রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচ। উইকেটে বোলারদের জন্যে প্রায় কিছুই ছিল না। যে কারণে ম্যাচের পরেই সেই উইকেটকে ‘বাজে’ আখ্যা দিয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্ট পিচ ছিল সেটা, যেটাকে এমন আখ্যা দেয়া হয়েছিল। যার ফলে পয়েন্টও কেটে নিয়েছিল আইসিসি।

তবে জানুয়ারির প্রথম দিকে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজম শেঠি আইসিসির কাছে তাদের সিদ্ধান্ত রিভিউ চেয়ে আবেদন করেন। আইসিসি বলছে, তাদের আপিল প্যানেল পূনরায় টেস্ট ম্যাচটির ফুটেজ পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেছে। উইকেট নানা ধরনের ফিচারযুক্ত। সুতরাং, তাদের মনে হয়েছে, এই উইকেট বা পিচ কোনোভাবেই ‘বাজে’ কিংবা ‘খারাপের চেয়েও নিচে’ আখ্যা পেতে পারে না।

ওই ম্যাচে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করেছিলো ৬৫৭ রান। পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৫৭৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ওভারপ্রতি ৭ রানের ওপর তুলে ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে ২৬৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪৩ রান। পাকিস্তান চেয়েছিলো ম্যাচটি ড্র করতে। 

কিন্তু পঞ্চম দিন স্বাগতিকদের অলআউট করে দিয়ে ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতে নেয় ৭৪ রানে। দুই দলের দুই ইনিংস মিলে ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩৭টিরই পতন ঘটেছে। সুতরাং, একে ‘বোলারদের জন্য কিছু ছিল না’ বলার অবকাশ নেই।

তখনকার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রমিজ রাজা এই উইকেট নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, ‘উইকেটটা ছিল বিব্রতকর। একজন সাবেক ক্রিকেটার যখন বোর্ড চেয়ারম্যান, তখন এমন উইকেট আমাদের জন্য মানায় না। এটা বিব্রতকর। আমরা এমন ক্রিকেট জাতি না। এর চেয়েও ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি আমরা।’

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান নাজাম শেঠির দাবি, তার হস্তক্ষেপেই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান হওয়ার পরই আইসিসিকে চিঠি লিখেছিলাম। ওদের লম্বা এবং কঠোর বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলাম, বিশ্বের অনেক স্টেডিয়ামে এর চেয়ে খারাপ পিচ তৈরি করা হয়। যে ম্যাচে ফলাফল পাওয়া গেছে, সেই পিচের পয়েন্ট কেন কেটে নেওয়া হল তা জানতে চেয়েছিলাম। আমি খুশি যে আইসিসি আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে এবং পয়েন্ট ফিরিয়ে দিয়েছে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে