আরিফুর রাজু : জীবনের রঙ নানা ভাবে বদলায়। প্রত্যেক মানুষের ব্যবসা কিংবা করর্পোরেট জীবনের বাইরেও আলাদ একটি জীবন আছে। কারোটা হয়তো প্রকাশিত, আবারো কারোটা অপ্রকাশিত। তেমনি ব্যাক্তি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাণ প্রাণ ভোমরা সাকিব আল হাসানেরও খেলুড়ে জীবনের বাইরে একটি জীবন আছে।
ব্যাট-বলে সমান তালে জ্বলে উঠতে পারদর্শী দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার যিনি কিনা দেশ-বিদেশের নিজের পারফরম্যান্সের গুণে ক্রিকেটীয় ব্যান্ডে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশে ক্রিকেটের এই ব্যান্ডের খেলুড়ে জীবনের বাইরে কিছু অজানা তথ্য ভক্তদের জন্য শেয়ার করেছেন দেশের একটি রেডিও স্টেশনে।
ওই অনুষ্ঠানটিতে সাকিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তার ব্যাক্তি জীবনের প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত বিষয়গুলো ভক্তদের শেয়ার করতে । তিনি তার জীবনের অজানা নানা বিষয়ে বলতে বলতে এক পর্যায়ে শেয়ার করেন ফুল বিক্রেতা শিশুর গল্প।
সাকিব বলেন, আমি আর শিশির গাড়ি করে বাসায় ফিরছিলাম। এমন সময় এক ফুল বিক্রেতা এসে আমাকে ফুল নিতে বলে। ভাংতি না থাকায় আমি ফুল নিতে অনিচ্ছ্বা প্রকাশ করি। কিন্তু তাৎক্ষণিকই সেই মেয়েটি আমাকে বলে উঠে সাকিব ভাই টেকা লাগবো না এই ফুলটা নেন। আর ফুলটার বিনিময়ে দেশের জন্য একটা ছক্কা মাইরেন। তাইলে আমি মনে করমু আপনে আমারে টেকা দিয়া দিছেন!’
সাকিব কান্না জড়িত কন্ঠে বলতে থাকেন, ‘এই ঘটনাটা যখনই মনে করি তখনই আমার চোখে পানি চলে আসে। মাঠে খেলার শুরুতে আমি এই ঘটনাটা মনে করার চেষ্টা করি। আমাকে একটা ফুলের দাম শোধ করতে হবে, আমাকে একটা হলেও ছক্কা মারতে হবে!’
১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর