মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৫:০৮:৪৬

মাঠে মেজাজ ও আগ্রাসন রহস্য ফাঁস করলেন কোহলি

মাঠে মেজাজ ও আগ্রাসন রহস্য ফাঁস করলেন কোহলি

স্পোর্টস ডেস্ক : বিপক্ষ ক্রিকেটারকে মুখের মতো জবাবে চুপ করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা ‘পরিবার থেকেই পেয়েছেন,’ অনায়সে বলতে পারেন তিনি। ভারতকে এক নম্বরে তুলে আনার পর নিজেও টি-টোয়েন্টির এক নম্বরে উঠে এসে যিনি সিনিয়র সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল থাকতে পারেন। যিনি বলে দেন, ‘‘শচিন টেন্ডুলকারকে দেখেই আমার ক্রিকেটে আসা।’’

সপ্তাহ দু’য়েক আগে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ‘মাইলস্টোনমুখী’ বলে সমালোচনা করা অস্ট্রেলীয় প্লেয়ারের ভিডিও চ্যাটের আমন্ত্রণে মাঠের শত্রুতা ভুলে যিনি কথা বলতে পারেন প্রাণ খুলে।

বিরাট কোহলি এ রকমই।

এক দিকে তার পছন্দ, মেজাজ, আগ্রাসন, লড়াই। এক দিকে তার ‘আইডল’— শচিন। সব নিয়েই মুখ খুললেন বিরাট। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে এক ভিডিও চ্যাটে।

সোমবারই অ্যারন ফিঞ্চকে সরিয়ে আইসিসির টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটসম্যানের ‘হট সিটে’ বসেছেন বিরাট। সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে যার তিনটে টি-টোয়েন্টিতে গড় ১৯৯। রান ৯০ ন.আ, ৫৯ ন.আ আর ৫০। যার সুবাদে ৪৭ রেটিং পয়েন্ট পেয়ে ফিঞ্চকে সরিয়ে একে উঠে এসেছেন দিল্লির ব্যাটসম্যান। যে আগুনে ফর্ম দেখে দিন ক’য়েক আগেই সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, ‘‘মাঝরাতেও আলো ছাড়াই ব্যাট করতে পারে কোহলি।’’ কিন্তু শত সাফল্যেও ‘গুরুর’ কথা হয়তো কিছুতেই ভুলতে পরেন না তিনি নিজে।

বিরাট কোহলি এ রকমই।

তাই ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে চ্যাটে নিজের কথা বলতে গিয়ে বিরাট বলে দেন, ‘‘দেশের হয়ে খেলতে নেমে শচিন দিনের পর দিন যা যা করেছে সেগুলো আমায় প্রেরণা দিয়েছে। শচিনকে দেখেই আমার ক্রিকেটে আসা।’’ সঙ্গে বিরাট যোগ করেন, ‘‘যে জায়গাগুলোতে আমি উন্নতি করতে পারতাম, শচিন সেগুলোয় আমায় সাহায্য করেছিল পরামর্শ দিয়ে। সে রকম কিছু দেখলে শচিন নিজেই আমায় টিপস দিত। শচিনের মতো বিরাট মাপের ক্রিকেটার এসে এ ভাবে তরুণ ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিচ্ছে, এটা ভাবাই যায় না।’’

সঙ্গে মাঠের বাইরে শত্রুতা ভুলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশার রহস্যটাও ফাঁস করেন বিরাট। বলেন, ‘‘আইপিএলে একই দলে খেলার সময় স্টার্কিকে (মিচেল স্টার্ক) কাছ থেকে না দেখলে জানতেই পারতাম না ও এত মিষ্টি ছেলে। মানুষ হিসেবে কী বিরাট মাপের। কাউকে না জেনে তাকে নিয়ে অনেক ধারণা তৈরি হতে পারে। আইপিএল কিন্তু সেই বাউন্ডারি লাইনটা তুলে দিয়ে যাদের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে খেলি, তাদের বন্ধু হওয়ার সুযোগটা এনে দিয়েছে।’’

বিরাট আরও একটা রহস্যও ফাস করেছেন ‘ম্যাক্সি’কে। আগ্রাসী মেজাজের রহস্য। ‘‘আমার মনে হয় এর পিছনে আমার পরিবারের একটা ভূমিকা রয়েছে। আমার বাবার রাশি সিংহ। বাবা লড়াই করতে জানতেন। নিজের উপর বরাবর বিশ্বাস রেখেছেন। তবে পরিবারের পাশাপাশি দিল্লির সিস্টেমে বড় হওয়াটাও একটা কারণ।’’

‘দিল্লির সিস্টেম’ ব্যাপারটা কী রকম? পরে ব্যাখ্যা করে বিরাট যোগ করেন, ‘‘এই সিস্টেমে উঠে আসতে গেলে সব সময় লড়াই করতে হয়। যেটা মানসিক ভাবে খুব শক্তপোক্ত করে তোলে। আশপাশের সবকিছু ভুলে গিয়ে যেটা চাই শুধু তাতেই ফোকাস করি।’’

এখানেই শেষ নয়, সিরিজে যার উইকেট তোলাটাই মাঠে নামলে বিপক্ষের প্রধান টার্গেট থাকে তিনি বলে দেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার আগে এটাই আমি চেয়েছিলাম। কখনও মাঠে নামা এগারো জনের মধ্যে এক জন হতে চাইনি। বিপক্ষের টার্গেট হতে চেয়েছি। যাকে প্রথমেই আউট করতে চাইবে ওরা।’’

২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসএবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে