স্পোর্টস ডেস্ক: আফ্রিকান দেশ সেনেগালের কাছে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেয়েছিল আর্জেন্টিনা। সিনিয়র ফুটবলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের উত্তরসূরীরা বল দখলে আধিপত্য দেখালেও ২-১ গোলে হারতে হয়েছিল।
সে কারণে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না আলবিসেলেস্তেদের। জাপানের বিপক্ষে নেমে তারা সেই সমীকরণের অঙ্ক ভালোভাবেই মিলিয়েছে। ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টাইন যুবারা।
গতকাল (মঙ্গলবার) একইদিন মাঠে নেমেছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার মতো ব্রাজিলও প্রথম ম্যাচে হেরে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে পড়ে গিয়েছিল।
দ্বিতীয় ম্যাচে তারা নিউ ক্যালেদোনিয়ার বিপক্ষে জয় পায় ৯-০ গোলের বড় ব্যবধানে। তাদের পরে নেমে ইন্দোনেশিয়ার জালাক হারুপাত স্টেডিয়ামে শেষ হাসি হেসেছে আকাশী-সাদা জার্সিধারীরাও। এতে তাদের শেষ ষোলোতে ওঠার আশাও ভালোভাবে টিকে রইল।
এদিন আর্জেন্টিনার হয়ে জয়সূচক তিনটি গোল করেন ক্লাউদিও ইচেবেরি, ভ্যালেন্তিনো আন্দ্রেস অ্যাকুনা ও আগুস্তিন ফ্যাবিয়ান রুবের্তো।
পরে জাপানের হয়ে একটি গোল শোধ করেন রেন্তো তাকাওকা। ম্যাচজুড়ে দুই দলের লড়াইটা প্রায় সমানই ছিল। যদিও বল দখলে কিছুটা এগিয়ে ছিল জাপান, ৫২ শতাংশ। বিপরীতে শট নেওয়ার দিক থেকে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। তাদের নেওয়া ১৫টি শটের ছয়টি গোলের লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল। আর জাপান ৯ শটের দুটি রাখতে পারে লক্ষ্যে।
ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটেই দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে লিড পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। শুরুতেই দলে ছন্দ এনে দেওয়া গোলটি করেন ১০ নম্বর জার্সিধারী ফরোয়ার্ড ক্লাউদিও। প্রায় ২৭ মিটার দূর থেকে তার জোরালো শট বাঁ প্রান্তে ঝাপিয়েও ঠেকাতে পারেননি জাপানিজ গোলরক্ষক ওয়াতারু গোতো।
দুই মিনিট পরই অ্যাকুনা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। যার মূল কৃতিত্ব মিডফিল্ডার সান্তিয়াগো লোপেজের। ডানপ্রান্ত ধরে তিনি আক্রমণে ওঠে দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। এরপর গোলবারের দিকে এগিয়ে আসা অ্যাকুনাকে পাস দেন তিনি। অ্যাকুনা বাকি কাজটা সেরে নেন।
শুরুর ঝড় সামলেও লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা চালায় জাপান। যদিও বিরতির আগে তাদের কোনো সুযোগ দেয়নি আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। ৫০ মিনিটে প্রথম সাফল্যের দেখা পায় জাপান।
ডানপ্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠে শতারো শিবাতা ডি-বক্সে সতীর্থের উদ্দেশে ছোট শট নেন। তিন ডিফেন্ডারের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোলবারের সামনে থেকে পা বাড়িয়ে বল জালে জড়ান তাকাওকা।
এরপর ৮৭ মিনিটে তারা সমতায়ও ফিরতে পারতো। কিন্তু বল জালে জড়ালেও আর্জেন্টিনার গোলরক্ষককে বাধা দেওয়ায় বাতিল হয়ে যায় গোলটি। শেষ পর্যন্ত আর কোনো জালের দেখা পায়নি তারা।
শেষদিকে যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে রুবের্তোর বাঁকানো শট গ্লাভসবন্দী করতে ব্যর্থ হন জাপানের গোলরক্ষক। তাতে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিওনেল মেসির উত্তরসূরীরা। এ জয়ে ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের দুইয়ে ওঠে গেল আর্জেন্টিনা। শীর্ষে থাকা সেনেগাল ২ ম্যাচে পেয়েছে ৬ পয়েন্ট।