স্পোর্টস ডেস্ক: গতকাল ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নবম আসরের নিলামে নজর ছিল বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের। সাকিব আল হাসানকে আগেই রেখে দিয়েছে কলকাতা নাইটরাইডার্স। তবে আরও পাঁচ বাংলাদেশি ক্রিকেটার ছিলেন এবারের নিলামে। এদের মধ্যে সাকিবসহ বাংলাদেশি উদীয়মান পেসার কাটার মুস্তাফিজুর রহমানকে কেনে নেন আইপিএল।
শনিবারের আইপিএল নিলামের পর দেখা গেল সাকিবের দল কলকাতা নাইটরাইডারের ব্যাটিং লাইন আপ এবং বোলিং লাইন আপ অনেকটা মজবুত। এদিন কলকাতা নাইটরাইডারের নির্বাচকরা কোটি টাকার বিনিময় দলে ক্রিকেটবিশ্বের গ্রেট গ্রেট খেলোয়াড়কে।
৫০ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস দিয়ে পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান মার্টিন গপর্টিলকে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার আইপিএলের আসরে কলকাতা নাইটরাইডার বিপদে ফেলবে। কারণ তাঁদের মতে, চাপের মুখেকলকাতা নাইটরাইডারের এবারের ব্যাটিং লাইন-আপ ভেঙে পড়তে পারে। এ দলে আছে, অল রাউন্ডার পীয়ুষ চাওলা, ইরফান পাঠান, সাকিব আল হাসান, আন্দ্রে রাসেলের মতো একাধিক খেলোয়াড়।
শনিবার আইপিএল নিলামে কেকেআর যে ৭ ক্রিকেটারকে কিনেছে, তাদের মধ্যেও কলিন মুনরো এবং আর সতিশ ব্যাটিং অল রাউন্ডার। বাকি যে ৫ নতুন ক্রিকেটারকে কলকাতা নাইটরাইডারের দলে নিয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই মূলত বোলার।
টি- টোয়েন্টি ফরম্যাট দলে অল রাউন্ডার বেশি থাকলে সেটা একদিকে অ্যাডভান্টেজ বলে মেনে নিলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দলে অতিরিক্ত অল রাউন্ডার রাখাটা কলকাতা নাইটরাইডারের হিতে বিপরীত করতে পারে। কারণ অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর ছাড়া দলে ব্যাটসম্যান বলতে রবিন উত্থাপা, মণীশ পাণ্ডে, সূর্য কুমার যাদব এবং ক্রিস লিনের মতো হাতে গোনা কয়েকজন।
যদিও অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের দাবি, পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবারের নিলাম থেকে প্রয়োজনীয় ক্রিকেটার তুলে নিয়েছেন তাঁরা। কারণ গম্ভীরের মতে, কেকেআর দলে যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে। গৌতম গম্ভীরের দাবি কতটা সঠিক আইপিএল-৯ শুরু হলেই তাঁর প্রমাণ পাওয়া যাবে।
৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস