রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১১:২৬:৩১

হয়তো এ কথাগুলো ক্রিকেটভক্তদের ভাল লাগবে না

হয়তো এ কথাগুলো ক্রিকেটভক্তদের ভাল লাগবে না

স্পোর্টস ডেস্ক: জানি অনেকেরই কথা গুলো ভাল লাগবে না। কেউ কেউ ভ্রুকুটি করবেন।  হয়তো কারো মন ও খারাপ হবে তবুও না বলে পারছিনা। যারা খেলা ভালবাসেন, তারা দয়া করে শুধু ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকবেন না। মনে রাখবেন দেশে আরও খেলা আছে, ক্রিকেটারদের বাইরে আরও ক্রীড়াবিদ আছেন তারাও দেশ মাতৃকার হয়ে লড়েন তাদের হাত ধরেও আসে সোনালী সাফল্য।

সময়ের প্রবাহতায় এখন ক্রিকেট দেশ ও জাতির আশা - স্বপ্ন ও জাতীয় ঐক্যর প্রতীক হয়ে গেছে আমাদের সাকিব , তামিম ও মুস্তাফিজরা এখন বিশ তারকা বনে গেছেন। কিন্তু সেই ক্রিকেট যখন বিশ^ পর্যায়ে ছিলনা, ক্রিকেটে বাংলাদেশ ছিল আইসিসির সহযোগি সদস্য তখনও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত বেজেছে। লাল সবুজ পতাকা পত পত করে উড়েছে ।

সেই ১৯৯০ সালে অকল্যান্ডে কমনওয়েলথ গেমসে ভারত , ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বাঘা বাঘা শ্যুটারদের পিছনে ফিলে এয়ার পিস্তলে প্রথম স্বর্ন পদক এনে দিয়েছিলেন আমাদের দুই শ্যুটার আতিকুর রহমান ও আব্দুস সাত্তার নিনি। তারপর ২০০২ ‘তে আবার কমনওয়েলত গেমসে স্বর্ন ধরা দেয়। সেবার এয়ার রাইফেলে দেশকে সোনালী সাফল্য উপহার দেন আসিফ হোসেন।
আমাদের দেশের স্প্রিন্টাররাও এক সময় দক্ষিন এশিয়ার দ্রুততম মানব ছিলেন।

অকাল প্রয়াত খাট পাল্লার দৌড়বীদ শাহ আলম আশির দশকে পর পর দুইবার সাফ গেমসে (এখনকার এস এ গেমসে ) দ্রুততম মানব হয়েছিলেন।
তার পর ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার স্প্রিন্টারদের পিছনে ফেলে ৯৩ সালে আবার দ্রুততম মানব হবার কৃতিত্ত দেখান আমাদেরই বিমল চন্দ তরফদার। তারপর কাজী শাহানা ও সাবরীনা , জিএম হায়দার ও রিংকীরা বিভিন্ন সময় স্বর্ন উপহার দিয়েছেন।
এবার স্বর্ন আসলো এক কঠিন ইভেন্ট ভারোত্তলনে সাফল্যর রুপকার এক নারী যোদ্ধা মাবিয়া আক্তার।

১৭ বছরের এ বাঙ্গালী কিশোরীর ভারোত্তোলক আজ গৌহাটিতে এবারের এস এ গেমসে বাংলাদেশকে প্রথম স্বর্ন উপহার দিলেন
সেই সাফল্যের কারনেই গৌহাটিতে বাজলো আমাদের প্রিয় জাতীয় সঙ্গীত উড়লো আমাদের লাল সবুজ পতাকা । অথচ সারা বছর আমরা এদের মনে রাখিনা মেতে থাকি শুধু ক্রিকেট ও ক্রিকেট নিয়েই । শুধু অনুরাগীদের কথা বলা কেন, ক্রিকেট ছাড়া বাকি খেলা গুলোর বেশীর ভাগ আজ অবহেলিত সুযোগ সুবিধা নেহায়েতই অপ্রতুল আমাদের বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের নীচে জিমে হাতে গোনা কজন নারী ভারোত্তোলক নিজের চেষ্টায় সারা বছর অনুশীলন করেন তাদেরই একজন মাবিয়া আক্তার।- লেখাটি বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক আরিফুর রহমান বাবু ভাইয়ে ফেসবুক পেইজ থেকে নেওয়া।
৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে