স্পোর্টস ডেস্ক : বিষয়টি জানা না থাকলেও আবার অনেকেই জানেন, যার প্রতিটি বলের গতিই ঘণ্টায় গড়ে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। সঙ্গে চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গি। ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখতে যা যথেষ্ট।
এহেন ডেল স্টেইনেরও মুখও কিন্তু শুকিয়ে গিয়েছিল। কপালে ঝড়ছিল ঘাম। কথা আটকে গিয়েছিল মাঝেমধ্যে। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ফাস্ট বোলার পড়েছিল মহাবিপদে। বড় হাতিকে মেরে ফেলতে যার সময় লাগে কয়েক মিনিট, ঘণ্টায় ১১ কিমি গতিতে তাড়া করে বা লাফিয়েও বিষ ঢেলে দেয়, তার সামনেই পড়েছিলেন তিনি। ব্ল্যাক মাম্বা। বিশ্বের বিষধর ও হিংস্র সাপের মধ্যে পয়লা নম্বরে। ২২ গজে হার না মানা মনোভাবের ডেল স্টেইন হার স্বীকার করেন অকপটে।
আর একটু হলেই শেষ হয়ে যেতের ডেল স্টেইন। যাক প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। তিনি লিখেছেন, বন্ধুর সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাত্ দেখেন, একটা সাপ আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে।
স্টেইন ও তার বন্ধু ভেবেছিলেন, সাপটি সাধারণ ব্রাউন হাউস স্নেক। বিষ নেই। তাই বাঁচানোর উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। সাপটির কাছে যেতেই শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে যায় স্টেইনের। তার কথায়, দেখলাম, বেচারা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। সাধারণ ব্রাউন হাউস স্নেক ভেবে বাঁচাতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সাপটির কাছে যেতেই বুঝলাম, বড্ড ভুল করে ফেলেছি। আমরা ব্ল্যাক মাম্বার সামনে! ভাগ্যের জোরে প্রাণ বাঁচল।
পোস্টে ডেল স্টেইন লিখেছেন, আমরা কত সাহসী, তা বোঝানোর জন্য এ পোস্টটা নয়। এ পোস্টটি করার উদ্দেশ্য, তুমি যে বিষয়টা নিয়ে ডিল করছো, তার সম্পর্কে যদি তোমার বিন্দুমাত্র ধারণা না থাকে, তাহলে তা ছেড়ে দেয়াই বুদ্ধিমানের।
৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম