স্পোর্টস ডেস্ক: তুর্কি সুপার কাপের ৫০তম আসরের ফাইনালে উঠেছিল গ্যালাতাসারে ও ফেনেরবাচ। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে গতকাল (শুক্রবার) রাতে ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল সৌদি আরবে।
কিন্তু দেশ দুটির ফুটবল কর্তৃপক্ষের মাঝে বেশকিছু বিষয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার পরই ম্যাচটি আর মাঠে গড়ায়নি। যার নেপথ্য কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জাতীয় সংগীত গাইতে না দেওয়া এবং গা গরমের সময় কামাল আতাতুর্কের স্লোগানসংবলিত টি-শার্ট পরতে না দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে সৌদি সরকার ও তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন ফাইনাল ম্যাচটি রিয়াদের আল-আউয়াল পার্ক স্টেডিয়ামে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
কিন্তু এদিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে যখন দুই দলের ফুটবলাররা গা গরমের অনুশীলন (ওয়ার্মআপ) শুরু করেন, তখনই বাধে বিপত্তি। আধুনিক তুরস্কের জনকখ্যাত মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের স্লোগাল লেখা টি-শার্ট পরায় আপত্তি জানায় সৌদি কর্তৃপক্ষ। পরে ফুটবলাররা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। যদিও আয়োজক সৌদির দাবি– ক্লাব দুটি ম্যাচের নিয়মকানুন মানেনি।
পরবর্তীতে তুর্কি ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) জানিয়েছে, ‘আমাদের তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের শততম বর্ষপূর্তি উদযাপনে টিএফএফ দেশের বাইরে ক্লাব ফুটবলের ফাইনালের আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কিছু সমস্যার কারণে ২০২৩ সুপার কাপ স্থগিত করা হয়েছে। ক্লাব দুটির সঙ্গে আলোচনার পর খেলাটির নতুন তারিখ জানানো হবে।’ যদিও খেলা স্থগিতের সুনির্দিষ্ট কারণ ও পরবর্তীতে কখন আবার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে, তার সূচি ঘোষণা করেনি দেশটির ফেডারেশন।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) রিয়াদের আল-আউয়াল পার্ক স্টেডিয়ামে তুর্কি সুপার কাপ হওয়ার কথা ছিল। ২৫ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে প্রচুর দর্শকসমাগমও হয়েছিল। কিন্তু সৌদি কর্তৃপক্ষ গ্যালাতাসারে ও ফেনেরবাচের চাওয়া পূরণ না করায় ক্লাব দুটি যৌথভাবে না খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। শুধু জাতীয় সংগীত গাইতে না দেওয়া এবং কামাল আতাতুর্কের বিখ্যাত স্লোগান ‘ঘরে শান্তি থাকলে বাইরেও শান্তি’–সংবলিত টি-শার্ট পরতে বারণ করাই নয়, দর্শকদের তুরস্কের জাতীয় পতাকা নিয়েও স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি স্টেডিয়ামে।
অন্যদিকে, আয়োজক কমিটির বিবৃতির বরাতে সৌদির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল বলছে, ‘আমরা আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী যথাসময়ে ম্যাচ আয়োজনের অপেক্ষায় ছিলাম। নিয়মে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, মাঠে কোনো স্লোগান ব্যবহার করা যাবে না। ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তুতিমূলক বৈঠকেও তুর্কি ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’