স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। সেই সুবাধে তিনি এখন আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।
গত বৃহস্পতিবারের পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থী ও ১৯ জন স্টাফ দারুণ এক অভ্যর্থনা পেলেন সংযুক্ত দুবাইয়ে। তাদেরকে বরণ করে নেয় তামিমের দল জালমি। পাকিস্তানে প্রাণঘাতী জঙ্গী হামলায় এই স্কুলের বাচ্চারা বেঁচে গিয়েছিলেন। তাদের সেই অনন্য সাহসিকতার গল্প জানিয়েছেন পেশোয়ার জালমির বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল।
সাহসিকতা ও টিকে থাকার এক অসাধারণ গল্প।
আসুন পরিচিত হই একজন সত্যিকার জীবন গল্পের নায়কের সাথে। সদ্য কৈশোরে পা রাখা এই ছেলেটি যে ভয়ংকর সময়কে পার করেছে তা যেন আর কারও
জীবনে না আসে।
তাঁর শরীরে এখনও স্পষ্ট সেই আটটি বুলেটের চিহ্ন। ২০১৪ সালের ১৬ই ডিসেম্বর, পেশয়ার আর্মি পাবলিক স্কুল। জঙ্গিরা সেদিন গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিল
একশ’রও বেশি স্কুল ছাত্রছাত্রীকে। যখন সন্ত্রাসীরা নির্দয়ভাবে গুলি চালাচ্ছিল, তখন ছেলেটি চেষ্টা করছিল নিজের শরীরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তাঁর ছোট
ভাইটিকে বুলেটের আঘাত থেকে রক্ষা করতে। পরবর্তীতে তাঁকে অস্ত্রোপচারের জন্য ইংল্যান্ডে নেয়া হয় এবং সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সে সেরে ওঠে।
কিন্তু একজন স্বল্পবয়সী কিশোরের জন্য এমন বীভৎস অভিজ্ঞতাকে মন থেকে মুছে ফেলা কঠিন। যে অসম্ভব সাহসিকতার পরিচয় এই কিশোর ছেলেটি এবং অন্যরা
দিয়েছে, তা আমাদের সবার জন্যই অনুপ্রেরণার উৎস। এই অসাধারণ আয়োজনের সাথে থাকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমার ফ্র্যাঞ্চাইজিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর