স্পোর্টস ডেস্ক : এই প্রথম এক বাজে রেকর্ড সৃষ্টি হলো টেস্ট ইতিহাসে! অস্ট্রেলিয়া সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম দুটিতে হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া করেছে পাকিস্তান। পার্থ এবং মেলবোর্ন টেস্টে ৩৬০ ও ৭৯ রানে হারে বাবর আজমরা।
চলমান সিডনি টেস্টে হারলেই তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সিরিজের শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।
১.২ ওভারে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৪ রান জমা হতেই সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও এই টেস্টে অভিষেকে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নামা সায়েম আয়ুব।
দুুই ওপেনার শূন্য রানে আউট হয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে বাজে নজির গড়েন। বছরের প্রথম টেস্টে দুই ওপেনার ডাক মেরে আউট হয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম ঘটল।
সিডনিতে টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৭ রানে প্রথমসারির ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারায় পাকিস্তান। শূন্য রানে ফেরেন দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও সায়েম আইয়ুব। সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম ফেরেন ২৬ রানে। দলীয় ৯৬ রানের মধ্যে ফেরেন সৌদ শাকিল (৫) ও শান মাসুদ (৩৫)।
৯৬ রানে ৫ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর পাকিস্তানের হাল ধরেন মিডলঅর্ডার ৩ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান, আগা সালমান ও আমির জামিল। ষষ্ঠ উইকেটে আগা সালমানকে সঙ্গে নিয়ে ১০১ বলে ৯৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
এরপর আগা সালমানের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়ে ফেরেন সাজিদ খান। ৬ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২২০ রান। এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেটের পতন।
শেষ উইকেটে মির হামজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৩৩ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়ে ইনিংসের ৭৭.১ ওভারে দলীয় ৩১৩ রানে আউট হন আমির জামিল।পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান (৮৬), আমির জামিল (৮২) ও আগা সালমান (৫৩) ফিফটির ইনিংস খেলেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্যাট কামিন্স ৬১ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন।