স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২৩ সালটা ব্যাট হাতে দারুণ কাটিয়েছেন বিরাট কোহলি। টিম ইন্ডিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল ও আইসিসি টেস্ট ফাইনালে হারলেও পুরো বছর জুড়েই বাইশ গজের যুদ্ধে ‘কিং কোহলি’ ছিলেন অনবদ্য।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক রান করার রেকর্ড গড়ে পিছনে ফেলে দিয়েছেন শচীন তেণ্ডুলকরকে। ২০০৩ সালের কাপযুদ্ধে ১১ ম্যাচে ৬৭৩ রান করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।
৬১.১৮ গড় নিয়ে সঙ্গে ছিল একটি শতরান ও ৬টি অর্ধ শতরান। সেখানে বিরাটও এবার ১১টি ম্যাচ খেলেছিলেন। তাঁর রান ৭৬৫। গড় ৯৫.৬৫।
ঝুলিতে রয়েছে ৩টি শতরান ও ৬টি অর্ধ শতরান। একইসঙ্গে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের ক্রিকেট কেরিয়ারের ৫০তম শতরান করে টপকে গিয়েছিলেন ‘গড অফ ক্রিকেট’কেও।
শুধু তাই নয়, ২০২৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের মধ্যে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন বিরাট। ৩৫ ম্যাচে তাঁর রান ২০৪৮। গড় ৬৬.০৬।
সর্বোচ্চ ১৮৬। ৭৮.৩১ স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৮টি শতরান ও ১০টি অর্ধ শতরান। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন শুভমান গিল। ৪৮টি ম্যাচে ২১৫৪ রান করেছেন তরুণ ওপেনার। এহেন বিরাট ২০২৪ সালে একাধিক নজির গড়ার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সে দিকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
এক) একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানকারী হিসেবে ১৪ হাজার রান করার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিরাট। এই মুহূর্তে বিরাটের ২৯২টি একদিনের ম্যাচে ১৩৮৪৮ রান।
এই নজির নিজের নামে করতে হলে বিরাটের দরকার আর ১৫২ রান। আপাতত শচীনের দখলে রয়েছে এই নজির। ৩৫০ ম্যাচ খেলে ১৪ হাজার রান করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।
দুই) প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১২ হাজার রান করার সামনে রয়েছেন বিরাট। এই রেকর্ড নিজের নামে করতে হলে তাঁকে আরও ৩৫ রান করতে হবে। এই মুহূর্তে বিরাট ৩৭৪টি ম্যাচে করেছেন ১১,৯৬৫ রান। তাঁর আগে রয়েছেন ক্রিস গেইল (৪৬৩ ম্যাচে ১৪৫৬২), শোয়েব মালিক (৫২৫ ম্যাচে ১২৯৯৩ রান), কায়রন পোলার্ড (৬৩৭ ম্যাচে ১২৩৯০ রান)।
তিন) ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় হিসেবে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান করতে হলে বিরাটের দরকার আরও ৫৪৪ রান। এই তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন বিরাট। ২৮ ম্যাচে তাঁর রান ১৯৯১। এখানেও শীর্ষে রয়েছেন শচীন। ১৯৯২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সাহেবদের বিরুদ্ধে ৩২টি টেস্টে সর্বাধিক ২,৫৩৫ রান করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার।
চার) আর ২১ রান করতে পারলেই বিরাট হবেন ভারতীয় হিসেবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। একইসঙ্গে প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪০০০ রান করতে হলে, বিরাটকে আরও ৩০ রান করতে হবে।
পাঁচ) ঘরের মাঠে আর ৫টি শতরান করলেই শচীনকে টপকে যাবেন বিরাট। টেস্টে ১৪ ও একদিনের ক্রিকেটে ২৪টি শতরান করার সুবাদে হোম গ্রাউন্ডে বিরাটের মোট শতরান ৩৮। সেখানে শচীন টেস্টে ২২ ও একদিনের ক্রিকেটে ২০টি শতরান করেছেন। ফলে ঘরের মাঠে তাঁর মোট শতরানের সংখ্যা ৪২।
ছয়) দরকার আর মাত্র ১টি শতরান। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১টি শতরান করতে পারলেই ভারতীয় হিসেবে শীর্ষে চলে যাবেন বিরাট। এই মুহূর্তে শচীনের সঙ্গে তিনিও ৯টি শতরান করে বসে রয়েছেন।
সাত) বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেরা রান সংগ্রাহক ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে জায়গা করে নিতে হলে বিরাটকে আরও ৩৮৩ রান করতে হবে। টাইগার্সের বিরুদ্ধে ৭টি টেস্টে শচীনের রান ৮২০। সেখানে ৬ টেস্টে বিরাটের রান ৪৩৭ রান।