স্পোর্টস ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টায় নির্বাচনী প্রচার শেষ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান সংবাদ সম্মেলন করলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী প্রচারে তরুণ প্রজন্মের কাছ থেকেই বেশি উৎসাহ পেয়েছেন বলে জানান ক্রিকেট মাঠের সফল এই অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা অনেক বেশি ভোট দেবে আশা করি। যদি তাদের দুটো করে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো, তাহলে আমার চিন্তা করা লাগত না।
আশা করছি তারা ভোট দেবে। আওয়ামী লীগ যারা করে, (সেই) সর্বসাধারণের ভোটে আমি জয়যুক্ত হতে চাই। যদি কাজ করার সুযোগ পাই, তাহলে সকলের জন্যেই করব। সারা মাগুরা আমার হবে। তাই দাবি করব—দলমত নির্বিশেষে আমাকে যেন ভোট দেয়।’
মাগুরা শহরের জামরুল তলায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এর মাধ্যমে আবারও দলমত নির্বিশেষে সবার প্রতি ভোট দিয়ে তাঁকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান সাকিব। অবশ্য এতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি যত মানুষের কাছে যাওয়া যায়, যত মানুষের পাশে যাওয়া যায়। তাদের সাথে কথা বলা যায়। হয়তো সবার কাছে যাওয়া যায়নি; সবার সাথে দেখা করার সুযোগ হয়নি।
আমি মনে করি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা করেছি। কিছু জায়গায় ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। প্রথমবারের মতো নতুন প্রার্থী হিসেবে কোনো ভুলভ্রান্তি হলে মাগুরার মানুষ আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে।
আর যাদের কাছে যেতে পারিনি, তাদের প্রতি আন্তরিক দুঃখিত। কিন্তু আন্তরিকতার কোনো কমতি ছিল না। যেকোনো কারণেই হয়তো হয়নি।
কিন্তু আশা করব তারা আমাকে বেশি বেশি ভোট প্রদান করবে, যাতে আগামী ৫ বছরে তাদের কাছে যেতে পারি। আর কিছু বলার নেই; চাই নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ হোক। সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করুক। তাদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করুক। সুন্দরভাবে ৭ তারিখ পার হোক—সেই আশা ব্যক্ত করছি।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাওয়া গেছে। তাদের গাইডেন্সে ভোট ক্যাম্পেইন সফল হয়েছে। ক্যাম্পেইন থেকে সর্বোচ্চ মানুষের কাছে যাওয়া গেছে। এ জন্যে জেলা আওয়ামী লীগ আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।’
সাংবাদিক সম্মেলনে সাকিবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা মাশরুর রেজা কুটিল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকের, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রনি, জেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার খুরশিদ রূদ্র, ফুফাতো ভাই ও জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার মেহেদি হাসান উজ্জ্বল।