স্পোর্টস ডেস্ক: শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নতুন অধ্যায় শুরু করেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ দিয়ে তার এই গুরুদায়িত্ব শুরু হচ্ছে।
যেখানে পাকিস্তানের একাদশে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন নতুন এই অধিনায়ক। মূলত আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পাকিস্তান ব্যাটিং অর্ডারের বিভিন্ন পজিশনে উপযুক্ত ক্রিকেটার খুঁজে পেতে চায়। যেখানে অর্ডার বদলে যেতে পারে সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমেরও।
কিউইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামীকাল (শুক্রবার), অকল্যান্ডে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা ১০ মিনিটে।
তার আগে আজ (বৃহস্পতিবার) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে শাহিন আফ্রিদি পাকিস্তান দলে উপযুক্ত ক্রিকেটার বেছে নিতে ‘এক্সপেরিমেন্ট’ চালানোর কথা বলেন।
একাদশে কারা থাকতে পারেন– সে ইঙ্গিত দিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আজম খান, আমের জামাল ও সাহিবজাদা ফারহানের মতো কিছু তরুণ ক্রিকেটারের জন্য কামব্যাকের সুযোগ এসেছে। এমনকি নতুন করে ডাক পেয়েছে হাসিবুল্লাহ ও আব্বাস আফ্রিদি। এই সিরিজ ও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের তারা মূল দলে খেলার সুযোগ পাবে বলে আশা করছি।’
বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে পাকিস্তানের ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আসতে চলেছে। ফলে ওপেনে একসঙ্গে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা কম বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে।
এমন পরিবর্তনের বিষয় নিশ্চিত করলেন আফ্রিদিও, ‘বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি পাকিস্তানের হয়ে সব সময় সেরাই থাকবে। আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের আগে আমাদের ১৭টি ম্যাচ আছে, আমাদের ভিন্ন সমন্বয়ও চেষ্টা করা উচিৎ। কোন খেলোয়াড় কোন পজিশনে ভালো, সেটা খোঁজার চেষ্টা করা হবে এবং সেই পজিশনে খেলানোর চেষ্টা করা হবে। কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, না–ও আসতে পারে।’
পেস বোলিংয়ে আক্রমণাত্মক মানসিকতার জন্য পরিচিত আফ্রিদি, একই মনোভাব নিয়ে জাতীয় দলের অধিনায়কত্বও করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী এই পেসার বলেন, ‘এটি খুব রোমাঞ্চকর চ্যালেঞ্জ এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য গর্বের।
প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব সহজ নয়, বিশেষত নিউজিল্যান্ডে বাড়তি চ্যালেঞ্জের। তারা বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল, তবে আমাদেরও তাদের বিপক্ষে ভালো খেলার রেকর্ড আছে। আমরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব।’
কিউইদের বেশিরভাগ মাঠের বাউন্ডারিই আয়তনে তুলনামূলক ছোট। কালকের ম্যাচটি হবে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে, যেখানে পেসারদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে মনে করছেন শাহিন, ‘পেসারদের জন্য স্ট্রেইট বাউন্ডারি খুব খুব ছোট। এটি কঠিন হবে।
আমি সব সময় ফুলার লেংথে বল করতে চেষ্টা করি, তবে এখানে সহজ হবে না। স্কোয়ার লেগের বাউন্ডারি বড়, আশা করি বোলিং ইউনিট সেদিকটাকে মাথায় রেখে বল করবে।’