স্পোর্টস ডেস্ক : আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সে অংশ নিতে বিমানে চেপে আয়োজক আইভরি কোস্টে রওনা দিয়েছিল গাম্বিয়ার ফুটবল দল। তবে মাঝ আকাশে ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়ে দলটি, প্রাণ হারানোর শঙ্কায়ও পরে দলের সদস্যরা। শেষমেশ যাত্রা শুরুর জায়গায় প্রত্যাবর্তন করতে সক্ষম হয় তাদের বহনকারী বিমান।
ইংরেজি গণমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, গাম্বিয়ার রাজধানী শহর বানজুল থেকে আইভরি কোস্টের উদ্দেশে বিমান উড্ডয়নের ৯ মিনিট পরই শুরু হয় যান্ত্রিক গোলযোগ। ধরা পড়ে বিমানে অক্সিজেন সংকটের ব্যাপারটি। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে আবার বানজুলেই বিমান ফিরিয়ে আনেন পাইলট। আর আধা ঘণ্টা থাকলেই মৃত্যু হতে পারত বিমানের সবার।
তবে কারো মৃত্যু না হলেও ততক্ষণে বিমানের থাকা কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়দের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক খেলোয়াড় সাইদি জ্যাঙ্কো ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, ‘কয়েকজনের মারাত্মক মাথাব্যথা ও তীব্র মাথা ঘোরানোর সমস্যা হয়েছে।’ অজ্ঞানও হয়ে যান কয়েকজন। এই অবস্থার জন্য দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকেও দায়ী করেন তিনি।
গাম্বিয়ার বেলজিয়ান কোচ টম সেইন্টফিট বলেছেন, ‘আমরা সবাই মারা যেতে পারতাম। আমরা দ্রুতই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম, আমিসহ। (মনে হয়েছে) আমার জীবন কীভাবে শেষ হয়েছে তার ছোট একটি স্বপ্ন দেখলাম মনে হলো। আসলেই, এটাই সত্যি।’
তিনি আরও বলেন,‘নয় (যাত্রা শুরুর) মিনিট পর পাইলন প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, সেখানে অক্সিজেন সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। …আমরা প্রায় কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় পড়েছিলাম। আরও আধ ঘন্টা বিমানে থাকলে আমরা সবাই মারা যেতাম।’
গাম্বিয়া দলকে আজই আবার আইভরি কোস্টের উদ্দেশে রওনা দিতে হবে। কারণ, সময় যে বেশি হাতে নেই! আগামী সোমবার সেনেগালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ তাদের। আফ্রিকান নেশন্স কাপে গাম্বিয়া ও সেনেগাল ছাড়াও ‘সি’ গ্রুপের অন্য দুইটি দল হলো ক্যামেরুন ও গিনি।