শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪, ১০:০২:২৫

এমন পরাজয়ের পর যাদেরকে কাঠগড়ায় তুললেন মাশরাফি

 এমন পরাজয়ের পর যাদেরকে কাঠগড়ায় তুললেন মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক : বিপিএলের ইতিহাসটাই অনেকটা এমন। প্রথম ম্যাচে খুব বেশি রান না এলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এসে রানের দেখা মেলে। আগের আসরগুলোর ধারাবাহিকতা রইলো দশম আসরে এসেও। 

সিলেট স্ট্রাইকার্স এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মধ্যেকার ম্যাচে রানের দেখা মিলেছে। দুই ইনিংসে এসেছে তিন ফিফটি। ১৭৭ রান করা সিলেটকে সাত উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। সেটাও ৮ বল হাতে রেখে। 

যদিও ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পর অনেকেরই ভাষ্য ছিল, এই ম্যাচটা শুধুই সিলেটের। ৮ম ওভারে ৫৯ রানে তিন উইকেট হারানোর পর চট্টগ্রামের পক্ষে থাকা লোকের সংখ্যা আরও খানিকটা কমল। তবে সেখান থেকেই যেন ঘুরে দাঁড়ায় বন্দরনগরীর দলটি। শাহাদাত হোসেন দীপু এবং নাজিবউল্লাহ জাদরানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরি চট্টগ্রামকে এনে দেয় দারুণ এক জয়। 

তবে তাদের এমন নৈপুণ্যের পেছনে বাজে ফিল্ডিংয়ের অবদানও আছে। নাজিবউল্লাহর ২টি আর দীপুর একটি ক্যাচ ছেড়েছেন সিলেটের ফিল্ডাররা। ম্যাচশেষে তাদেরকেই কাঠগড়ায় তুললেন সিলেট অধিনায়ক। 

সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, অল্প সময়ের মাঝে তিনটা ক্যাচ, টি-টোয়েন্টিতে কামব্যাক করা খুবই কঠিন। কারণ উইকেটে তো ডিউ করে আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছিলো। তখন আসলে ব্রেক দরকার ছিল। আমাদের সুযোগ ছিল কিন্তু আমরা হাতে নিতে পারিনি। 

আর টি-টোয়েন্টিতে এমন একটা জিনিস যে ভালো বলও ব্যাটাররা মারে বা শটস খেলে। সেখানে ক্যাচ ছাড়লে তো আর সুযোগ থাকে না। একটা হলে তাও পূরণ করা যায় তিনটা হলে তো আর পূরণ করা যায় না।’

মাশরাফি বলেন, ‘এই সিজন তো কেবল শুরু হলো। এমনও হতে পারে এই দল ভালো খেলছে না। এটা খুবই স্বাভাবিক, এটা তো ক্রিকেটে হতেই পারে। 

আগেরবার ফাইনালে খেলেছি বলে এইবারও যে টপে যেতে পারব এরকম তো কথা নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে শেষ পর্যন্ত লড়াই করা। কেবল একটা ম্যাচ হয়েছে দেখা যাক সামনে কি হয়। তবে টি-টোয়েন্টিতে চ্যালেঞ্জিং। অন্যান্য দলের সঙ্গে তুলনা করলে অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে