স্পোর্টস ডেস্ক: ২০০৭ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজকের এই দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন এদেশের সেরা ওপেনিং ডেশিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। দেখতে দেখতে ০৯ টি বছর পার করে ফেলেছেন অত্যান্ত সুনাম ও গর্বের সঙ্গে। ২০০৭ বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে সে সময়ের অন্যতম সেরা ওপেনার শাহরিয়ার নাফীসের সাথে আরো একজনের ওপেনিং কম্বিনেশন খোঁজা হচ্ছিল। এমন প্রেক্ষাপটেই ১৭ বছর বয়সী এক মারকুটে ওপেনারের আগমন ঘটে বাংলাদেশ ক্রিকেটে, তিনিই আজকের তামিম ইকবাল খান।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিধ্বংসী এই ওপেনারের সেই অভিষেক ওয়ানডেতে ১৪ রানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজ এত দিনের পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের দিকে তাকালে তামিমের অবদান চোখে পড়ার মত। টেস্টে এবং ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন তামিম। এছাড়া টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০, তিন ফরমেটেই এক ইনিংসে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মালিকও তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশী সেঞ্চুরী (৬টি) এবং সবচেয়ে বেশী হাফ সেঞ্চুরীও (৩২টি) তামিমের। এমনকি দেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশী চার (৫৩৬টি) এবং সবচেয়ে বেশী ছক্কা (৬২টি) হাঁকানো ব্যাটসম্যানটির নামও তামিম। এছাড়াও বাংলাদেশের পক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানও (৩১২, পাকিস্তানের বিপক্ষে) তামিমের। এভাবে তিন ফরমেটেই ব্যাটস্ম্যানদের প্রায় সব বড় রেকর্ডগুলোকে নিজের করে পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন নিয়মিত ওপেনারে। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে ব্যাট হাতেই দিয়েছেন সমালোচকদের সমুচিত জবাব। দেশের হয়ে খেলে বেড়িয়েছেন আইপিএল, সিপিএল ও পিএসএল এর মত জনপ্রিয় বিদেশী ঘরোয়া লীগেও, সেখানেও রয়েছে তাঁর উজ্জ্বল পারফরম্যান্স।
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের তখনকার সেরা পেসার জহির খানকে ড্যান্সিং ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা হাঁকানো ১৭ বছর বয়সী সেই তরুণ ব্যাটস্ম্যানটি আজ অনেকটাই পরিণত। এর মধ্যেই পেরিয়ে গেছে নয়টি বছর, তামিমের হাত ধরেই অনেক ইতিহাসের সাক্ষি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। আজকের এই প্রেক্ষাপট শুধুই একজন তামিম ইকবাল খানের নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ছুটে চলেছে, অবিরাম! সূত্র-বাংলাদেশ ক্রিকেট।
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর