স্পোর্টস ডেস্ক : চোখ বুঝে বলা যায়, বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি। একদা নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা আজ বাংলাদেশ ক্রিকেটের দলনায়ক। তার সফল নেতৃত্ব ও দৃঢ় মনোবল বাংলাদেশ দলকে নিয়ে গেছে অন্য রকম উচ্চতায়। মাঠে বা প্রকাশ্যে নয়, সবার আড়ালে এই টাইগার দলনায়ককে শক্তিরুপিনী হিসেবে সাহস ও মানসিক শক্তির প্রেরণার নামই সুমনা হক। ম্যাশের স্ত্রী।
দুজনই বৃহত্তর যশোহরের নড়াইলের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকে জানাশোনা। তবে মন দেওয়া-নেওয়া হলো কলেজে পড়ার সময়। এর সাক্ষী রহল নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজ ও চিত্রা নদী। হয়ত চিত্রা পাড়েই হয়েছিল মন দেওয়া-নেওয়া ও প্রেম।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের (ওয়ানডে) অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে সুমনা হকের সেই প্রেম পরিণতি পায় ২০০৬ সালে। নারী ভাগ্য বলে যদি কোন কথা থাকে তবে সেটা আমাদের অধিনায়কের ক্ষেত্রেই মানায়। কারণ তারপর থেকে বদলাতে থাকে মাশরাফির জীবন। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেট শিকারীর খেতাব অর্জন করেন মাশরাফি। সেই বছর তিনি অর্জন করেন ৪৯টি উইকেট। এরপর ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের বিপক্ষে স্মরনীয় জয়ে মাশরাফি মূখ্য ভূমিকা রাখেন। রেখেছেন।
এছাড়াও বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাশরাফিই এক ওভারে সর্বোচ্চ ২৬ রান সংগ্রহ করেন ভারতের বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
তবে, কে প্রথম প্রেম নিবেদন করেছিলেন, সেটি অবশ্য রহস্যের মধ্যেই রাখতে চেয়েছেন মাশরাফি। কিছু কথা থাক না গোপন!
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস