স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচশেষে হারের তিক্ত ক্ষত তখনও শুকায়নি। এর মাঝেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সি পরিহিত ক্রিকেট ভক্তের বক্তব্য, 'এবার তামিমকে ফেরাতে হবে বিসিবির। সে নিজেকে প্রমাণ করেছে।'
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর ফরচুন বরিশালের ফাইনালের পর আলোচনায় এমনিভাবে মিশে ছিলেন তামিম ইকবাল। বিপিএলের শিরোপাজয়ী অধিনায়ক নিজে যদিও দাবি করেছেন, প্রমাণ করার কিছুই ছিল না তার। তবে, ভক্তদের মুখে এবারের আসরটা তামিমের নিজেকে আবার মেলে ধরার সেরা সুযোগ ছিল।
চট্টগ্রাম থেকে আসা এক ভক্তের দাবি, তামিম নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে অবসর ভেঙে খেলানোর আবেদনও শোনা গেল সেই ভক্তের কাছ থেকে। আসরের সেরা খেলোয়াড় আর সেরা ব্যাটার হওয়ার পর এই ওপেনারের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে দ্বিতীয় কোনো আলোচনারই পক্ষে নন অনেকে।
অধিনায়কত্ব, নিজের পারফরম্যান্স, সেইসঙ্গে মাঠে এবং মাঠের বাইরের আচরণে এবারের বিপিএলে নতুন করে ভক্তদের মুগ্ধ করেছেন চট্টগ্রামের এই ওপেনার। বরিশালের প্রথম শিরোপা আর কুমিল্লার দাপট ভঙ্গের চেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন তামিম ইকবাল।
পুরো আসরেই ছন্দে ছিলেন বরিশালের অধিনায়ক। তাওহীদ হৃদয়কে টপকে বিপিএলের সিরিজসেরা হলেন দেশসেরা ওপেনার। ৪৯২ রান করে সিরিজের সেরা ব্যাটার হয়েছেন তামিম। সেইসঙ্গে পুরো বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
কুমিল্লার ব্যাটসম্যান তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার দৌড়ে তিনি ইঁদুর-বিড়াল দৌড় জারি রেখেছিলেন। প্রায় প্রতিটি ম্যাচের পরই সেরা রানসংগ্রাহকের নাম বদলেছে।
শেষ পর্যন্ত হৃদয়-তামিমের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জয়ী হলেন বরিশাল অধিনায়কই। ১৫ ম্যাচে ৩৫.১৪ গড় এবং ১২৭.১৩ স্ট্রাইকরেটে তামিম করেছেন ৪৯২ রান। অন্যদিকে, হৃদয় এক ম্যাচ কম খেলে ৩৮.৫০ গড় এবং ১৪৯.৫১ স্ট্রাইকরেট নিয়ে ৪৬২ রান করেছেন।
তামিম যে ফুরিয়ে যাননি সেটা প্রমাণ করেছেন এবারের বিপিএলে। বড় ইনিংস নিয়মিত না এলেও দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে খেলেছেন ৭১ রানের চমৎকার এক ইনিংস।
টুর্নামেন্টে এরপর আরও দুটি ফিফটি পেয়েছেন। এলিমিনেটরে চট্টগ্রামের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৪৩ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস।