স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচের আগে মায়ামির সহকারী কোচ জাভি মোরালেস জানিয়েছিলেন, মেসির ফিটনেস নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে তাকে অন্তত ১০ মিনিট খেলানোর কথা।
হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে প্রায় এক মাস ধরে মাঠের বাইরে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তাই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কবে মাঠে ফিরবেন, বেশ কিছুদিন ধরে ভক্তদের মনে সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল।
অবশেষে মাঠে নামলেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার। ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে ফেরার দিনে দৃষ্টিনন্দন এক গোলও করলেন। তবে জেতেনি তার দল।
রোববার (৭ এপ্রিল) চেজ স্টেডিয়ামে এমএলএসের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে কলোরাডোর সঙ্গে ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠে ছেড়েছেন মেসি-সুয়ারেজরা।
এদিন ম্যাচ জুড়েই আধিপত্য ছিল মায়ামির। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে পড়ে ফ্লোরিডার ক্লাবটি। মায়ামির বক্সে ক্যাবরাল ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। স্পট-কিকে মায়ামিকে হতাশ করেন কোল নাভাররো। এতে লিড নিয়েই বিরতিতে যায় কলোরাডো।
পরিস্থিতি বদলাতে বিরতির পরপরই মেসিকে মাঠে নামান কোচ টাটা মার্টিনো। মাঠের নামার ১২ মিনিটের মাথায় ভক্ত-সমর্থকদের দীর্ঘ এক মাসের অপেক্ষার প্রতিদান দেন আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সের ভেতর থেকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি।
এরপর মায়ামির লিড নেওয়ার গোলেও অবদান ছিল এই ক্ষুদে ফুটবল জাদুকরের। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে মেসির পাস ধরে ডেভিড রুইজের বাড়ানো বলে কলোরাডো গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে জালে বল জড়ান লিওনার্দো আলফনসো।
এরপর নিশ্চিত জয়ের দিকেই আগাচ্ছিল গোলাপি জার্সিধারীরা। তবে ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তের গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা।
এই ড্রয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট মায়ামির। ৩টি করে জয় ও ড্র নিয়ে টেবিলের দুইয়ে তারা। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা নিউইয়র্ক রেডবুলসের পয়েন্ট ১৪।