স্পোর্টস ডেস্ক : নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। শেষ আটে প্রথম দুই ম্যাচে বাজেভাবে হারের পরও টাইগারদের সামনে সেমিফাইনালের হাতছানি ছিল।
আফগানিস্তানকে সমীকরণ মিলিয়ে হারাতে পারলেই ইতিহাস গড়তো টাইগাররা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে যেত টিম টাইগার্স।
শেষ চারের লক্ষ্যে আজ (মঙ্গলবার) কিংস্টনে আফগানদের বিপক্ষে বল হাতে শুরুটা ভালো করেছিলেন টাইগার বোলাররা। তাদের নৈপুণ্যে ১১৫ রানেই রশিদ খানদের আটকে রাখে বাংলাদেশ। সেমিতে যেতে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো শান্তদের।
সেটা তো দূরের কথা, শেষ পর্যন্ত ম্যাচই জিততে পারেনি টিম টাইগার্স। বৃষ্টি আইনে ৮ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হারে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ারও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এবার রেকর্ড প্রাইজমানি ঘোষণা করেছিল আইসিসি। সর্বমোট প্রাইজমানি ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩২ কোটি টাকা। আগের আসরে সেটা ছিল ৫৬ লাখ ডলার বা ৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত আসরের চেয়ে এবার প্রায় দিগুণ বরাদ্দ দিয়েছে আইসিসি।
এবার চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় তারা পাবে প্রায় ২৯ কোটি টাকা। রানার্স-আপ দলের জন্য রাখা হয়েছে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা।
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল পাবে ৭, ৮৭, ৫০০ মার্কিন ডলার বা ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পাবে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা করে। সে হিসেবে বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ শুধু প্রাইজমানি হিসেবে এই পরিমাণ অর্থ পাচ্ছে।
পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো পাচ্ছে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার। সে হিসেবে তিন ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ পাচ্ছে ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৩ টাকার সমান। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬২ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকারও বেশি। এর বাইরে ম্যাচ ফি, ম্যাচসেরার পুরস্কারসহ অন্যান্য আয় তো থাকছেই।