স্পোর্টস ডেস্ক : নিশ্চিতভাবেই লিওনেল মেসির জন্য এটি ছিল শেষ কোপা আমেরিকা। তবে শেষ ম্যাচেও পুরোটা সময় থাকা হলো না মেসির। ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে হলো আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে।
৬৬ মিনিটে বদলি করা হলো তাকে। বদলি হিসেবে নেমেছেন নিকোলাস গঞ্জালেস। দুঃসংবাদ আর্জেন্টাইন ভক্তদের জন্য, কান্নাভেজা চোখে মেসি বিদায় জানালেন মাঠকে।
এদিকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া। গোলশূন্য সমতায় থেকে বিরতিতে গেছে দুই দল। তবে এই অর্ধে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও বর্তমান কোপা চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচে বল দখল, আক্রমণ ও লক্ষ্যে শট নেওয়ায় এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া।
সোমবার (১৫ জুলাই) মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে আর্জেন্টিনাকে চাপে রাখে হামেস রদ্রিগেজের কলম্বিয়া। বল দখল থেকে শুরু করে আক্রমণ সবদিকে এগিয়ে ছিল রদ্রিগেজের দল। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মন্টিয়েলের ক্রস থেকে পা ছোঁয়ালেও তা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আলভারেজ।
ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। লুইস ডিয়াজের গড়ানো শট ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের মিনিটেই রদ্রিগেজের বাড়নো বলে করডোভা শট করলে তার বারের ঠিক পাশ দিয়ে চলে যায়। যার ফলে এবারও হতাশ হতে হয় কলম্বিয়াকে।
১৩তম মিনিটে আবারও আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। এবার রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে কুয়েস্টা হেড করলে তা সহজে তালুবন্দী করেন মার্টিনেজ। ৩৩তম মিনিটে দারুন এক শট করেন লারমা। তবে মার্টিনেজের হাতে লেগে বল মাঠের বাহিরে চলে যায়। বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় গোলশূণ্য বিরতিতে যেতে হয় দুদলকে।
১৯৪৫ সাল থেকে কলম্বিয়ার সঙ্গে খেলছে আর্জেন্টিনা। ২০২২ পর্যন্ত দল দুটি মুখোমুখি হয়েছে ৪২ বার। তার মধ্যে আর্জেন্টিনা জিতেছে ২৫ বার। ৯ বার জিতেছে কলম্বিয়া। আর ৮টি ম্যাচে কেউ জিতেনি।