স্পোর্টস ডেস্ক : বিব্রতকর এক পরিস্থিতিতে পড়েছেন মাত্র দু’দিন আগে কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। তাদের বিরুদ্ধে উদযাপনে সীমা ছাড়িয়ে বর্ণবাদী গান গাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফিফা।
এরই মাঝে এই ঘটনার জন্য আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও ফেডারেশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়াকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন দেশটির আন্ডার-সেক্রেটারি অব স্পোর্টস জুলিও গারো। কিন্তু তাকেই এবার বরখাস্ত হতে হলো।
সামাজিক মাধ্যমে এনজো ফার্নান্দেজের করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্রান্স দলে থাকা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের নিয়ে মজা করছেন তারা। এরপর থেকে বর্ণবাদী আচরণ করার কথা উল্লেখ করে সমালোচনায় নেমেছে ফুটবলার থেকে শুরু করে অনেকেই। তারই রেশ ধরে বড় শাস্তির মুখে আর্জেন্টিনার এই তারকা মিডফিল্ডার। কারণ তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। এ ছাড়া ফিফা পুরো আর্জেন্টিনা দল নিয়েই তদন্তে নেমেছে।
যদিও এনজো ফার্নান্দেজ বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। তবুও ক্লাব সতীর্থদের রোষানল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি। অনেকেই এই তারকা মিডফিল্ডারকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনফলো দিয়েছেন। বিশেষত চেলসির ফরাসি ফুটবলার অ্যাক্সেল দিসাসি, মালো গুস্তো, ওয়েসলি ফোফানা এবং বার্সেলোনায় খেলা জুলস কুন্দে কড়া সমালোচনা করেছেন এনজোর। এমন পরিস্থিতি দেখেই আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়াকেও ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন আন্ডার-সেক্রেটারি অব স্পোর্টস গারো।
মেসি-তাপিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, ‘জাতীয় দলের অধিনায়কের এজন্য ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। এএফএ সভাপতিরও ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। আমার মনে হয় এটা ঠিক না। এটা আমাদের গৌরবান্বিত দেশকে বাজে পরিস্থিতিতে ফেলেছে।’
কিন্তু গারোর এই মন্তব্য ভালোভাবে নেননি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ার মিলেই। গারোকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়ে সরকারের অফিশিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট অফিস জানাচ্ছে যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, টানা দু’বার কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা জাতীয় দল কিংবা কোনো নাগরিক কী ভাববে, কী করবে, সেটা কোনো সরকার বলতে পারে না। এ কারণে জুলিও গারো আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টসের দায়িত্বে আর থাকছেন না।’
নিজের পদ হারানোর পর আরেকটি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গারো। একইসঙ্গে তিনি সবসময়ই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করবেন বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। গারো বলেন, ‘আমার কথা যদি কাউকে আঘাত করে, তাহলে দুঃখিত। এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে আমি সব সময়ই যেকোনো ধরনের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে থাকব।’