স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ডের অন্যতম পুরনো কাউন্টি ক্লাব সাউথউইক ও শোরহাম সম্প্রতি অদ্ভুত এক নিয়ম করে আলোচনায় এসেছে। ক্লাব মাঠের আশেপাশের বাসিন্দাদের কথা চিন্তা করে ক্রিকেটারদের ছক্কা মারতে বারণ করে দিয়েছে তারা।
ছক্কা মারার ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়মের প্রচলন ঘটিয়েছে সাউথউইক ও শোরহাম ক্লাব। তাদের নিয়মানুযায়ী, প্রথমবার ছক্কা মারলে সেটি রান হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। আর দ্বিতীয়বার ছক্কা মারলে ওই ক্রিকেটার আউট হিসেবে বিবেচিত হবেন।
অনেকটা বাধ্য হয়েই অবশ্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ক্লাবটিকে। ক্লাবের মাঠ তুলনামূলক ছোট হওয়ায় ছক্কা মারলে আশপাশে থাকা বাড়ির জানালা ও গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। আর সে কারণেই ক্রিকেটারদের ছক্কা মারতে বারণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন এই বিষয়ে বেশ কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সেখানে ক্লাবের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটাররা। ক্লাবের এক ব্যাটার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বোলারকে ছক্কা মারা খেলার গৌরবের একটি অংশ। আপনি সেটাকেই কীভাবে নিষিদ্ধ করে দেন? এটা হাস্যকর। এটাকে সরিয়ে দিয়ে খেলাটার আনন্দটাকেই দূরে সরিয়ে রাখছেন। এই নিয়মটা এভাবে বদলানোর সঙ্গে আমি একমত নই।’
মুদ্রার অন্য পিঠটা জানা গেছে ম্যারি গিল নামের এক ভদ্রমহিলার কাছ থেকে। সাউথউইক ও শোরহাম ক্লাবের ঠিক পাশেই তার বাসা। তিনি বলেন, ‘মাঠটি খুবই ছোট। আমার আগে এই বাড়িতে আমার মা–বাবা, দাদা-দাদি থাকতেন, তখন প্রায়ই ক্রিকেট বল উড়তে আসত, ক্ষতি করত। ১৯৪০ সালের কথা, আমার ছোট ভাই তখন বাসার বাইরে বাগানে ছিল। আমার মা এসে দেখে যে দোলনায় তাকে রাখা হয়েছিল, সেখানে একটি বল খুঁজে পেয়েছে। বছরের পর বছর ধরে আমাদের ছাদের টাইলস ভেঙেছে, জানালা ভেঙেছে, আরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
তবে বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে দেখছেন ক্লাবের এক ক্রিকেটার। তার মতে, ‘আপনি যদি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পাশে বাড়ি কেনেন, আপনার বাড়ির বাগানে কিছু বল এসে পড়বে, সেটা মানতে হবে।’