স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসির দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে পরিচিত স্পেন। পরিবারসহ দেশটির বার্সেলোনা শহরে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বলেই অবকাশ যাপন কেন্দ্র ইবিজা দ্বীপে ‘ইবিজা ম্যানশন’ নামে একটি বিশাল বাড়ি বানিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আর বড় একটি অঘটন ঘটলো মেসির এই বাড়িতে!
মেসির ১১ মিলিয়ন ইউরোর সমমূল্যের সেই বাড়িতে হামলা করেছেন পরিবেশবাদীরা। পরিবেশ বিপর্যয়ে বাড়িটি সহায়ক বলে মনে করছেন তারা।
বার্সেলোনার সাবেক প্লে মেকারের বাড়িতে হামলা করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ফুতোরো ভেজেতাল’। ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানার হাতে মেসির বাড়ির সামনে দুজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন। ব্যানারে লেখা, ‘দয়া করে পৃথিবীকে বাঁচান, ধনীদের প্রতিরোধ করুন এবং পুলিশকে সরিয়ে নিন।’ পরে স্প্রের মাধ্যমে বাড়ির দেয়ালে লাল ও কালো রং দিয়ে স্লোগান লিখে দেন।
পরিবেশবাদীরা এক বিবৃতি লিখেছে, ‘অক্সফামের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার সবচেয়ে ধনাঢ্য ১ শতাংশ ব্যক্তিরা ২০১৯ সালে যতটা কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী, তা দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশ কার্বনের সমান।’
মেসির বাড়ি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বলেও জানান পরিবেশবাদীরা। সামাজিক মাধ্যম এক্সে তারা লিখেছে, ‘মেসির ইবিজার অবৈধ বাড়িতে রং দিয়েছি। এই বাড়িটি অবৈধ উপায়ে নির্মিত হয়েছে।
১১ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ খরচ করেছেন এই তারকা। নির্মাণের সময় ২-৪ মানুষ নিহত হয়েছেন। নির্মাণসংক্রান্ত কাজের কারণে তাপপ্রবাহ বেড়েছে।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে, ২০২২ সালে সান জোসেফ নামের এক ব্যক্তির সম্পত্তি কিনে বাড়িটি নির্মাণ করেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে খেলার সময় তিন সন্তান ও স্ত্রী অ্যান্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে নিয়ে এখানেই থাকতেন ৮ বারের ব্যালন ডি অরজয়ী।
বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হওয়ার পর থেকেই অবশ্য এখানে থাকা হয় না মেসির। বাড়িতে হামলা নিয়ে এখনো অবশ্য কোনো মন্তব্য করেননি ইন্টার মায়ামির অধিনায়ক।