স্পোর্টস ডেস্ক : গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বিভিন্ন ব্যানারে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন কিছু সাবেক খেলোয়াড়, সংগঠক এবং ফুটবল সমর্থকরা।
বাংলাদেশ ফুটবল আল্টার্স, ফুটবল সাপোটার্স ফোরাম, সাবেক নারী ফুটবলাররা বাফুফে ভবনের সামনে মানববন্ধন করে কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছে।
কিন্তু বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বরাবরই বলে আসছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না এবং আগামী ২৬ অক্টোবর নির্ধারিত নির্বাচনে তিনি আবারও সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
শনিবার আরো বড় আকারেই বাফুফে ভবনের সামনে মানবন্ধন হয়েছে কাজী সালাউদ্দিন ও নির্বাহী কমিটির সবার পদত্যাগের দাবিতে। ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এই মানববন্ধনে। বাফুফে কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়ার পাশাপাশি এই মানব বন্ধন থেকে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ারও একটা দাবি উঠেছে।
বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক তার বক্তব্যে দেশের বন্যা ও সার্বিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে নির্বাচন কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা তা ফিফার সঙ্গে আলোচনার আহবান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি ক্রীড়া উপদেষ্টাকেও উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছেন। সময় পেলে আগামীর কমিটি তৈরির জন্য চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
বাফুফে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। তখন ফিফার অনুমোদন নিয়ে তা পিছিয়ে ২৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়। আবার বাফুফে নির্বাচন পেছানোর দাবির প্রেক্ষিতে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, ‘নির্বাচন পেছানোর আমার ক্ষমতা নেই। এটা ফিফার সিদ্ধান্ত। নির্বাচন একবার পিছিয়েছে। দ্বিতীয়বারতো আমি নিজের মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করতে পারি না ফিফাকে।’
আপনার পদত্যাগের দাবি করা ব্যক্তিরা তো বাফুফে ভবনেও প্রবেশ করেছিলেন। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? জবাবে কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘এ নিয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। নিয়ম-কানুন সব আপনারাও জানেন।’