স্পোর্টস ডেস্ক : কাতারের দোহায় গত কাল রাতে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বিশ্বসেরা ফুটবলার হিসেবে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের নাম ঘোষণার পর ধীরপায়ে মঞ্চের দিকে হেঁটে যান রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো তার হাতে পুরস্কার দিতেই ভিনির চোখে-মুখে খেলে যায় বিশ্বজয়ের উচ্ছ্বাস।
বঞ্চনার হতাশা মুছে, প্রাপ্তির ক্ষণে দাঁড়িয়ে ব্রাজিলের সোনার ছেলে বললেন, ‘এই পর্যায়ে উঠে আসতে পারাটা অসম্ভব মনে হচ্ছিল।’
২০০৭ সালে কাকার প্রথম ব্রাজিলীয় হিসেবে বর্ষসেরা ফুটবলারের আনুষ্ঠানিক স্কীকৃতি পেতে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে ২৪ বছর বয়সি ভিনিকে। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েও গত ২৮ অক্টোবর ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াইয়ে তিনি হেরে ম্যানসিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রির কাছে। তখন অনেকেই বলেছিলেন, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই না থামালে বিশ্বসেরার স্কীকৃতি জুটবে না ভিনির ভাগ্যে।
কিন্তু মাস দেড়েক পর ফিফার ভোটাভুটিতে সেই রদ্রিকেই পেছনে ফেলে ‘বেস্ট’ হয়ে গেলেন ভিনি। সব মিলিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৮ পয়েন্ট। ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রদ্রি।
বিশ্বসেরা হওয়ার যাত্রা শুরু হয়েছিল রিও ডি জেনিরোর চরম অপরাধপ্রবণ এলাকা সাও গনকালোর রাস্তা থেকে। দারিদ্রের কশাঘাত খালি পায়ে রাস্তায় ফুটবল খেলে এতদূর আসার গল্পটা ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ ট্রফি হাতে শোনালের ভিনি, ‘কীভাবে শুরু করব ঠিক জানি না। সাও গনকালোর রাস্তায় খালি পায়ে ফুটবল খেলা একটা বাচ্চার জন্য এই ট্রফির নাগাল পাওয়া অসম্ভব মনে হয়েছিল। দারিদ্র ও অপরাধের রাজ্যে বেড়ে উঠেছি আমি। এখানে আসাটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটা সে সব শিশুর জন্য যারা আমার মতো পৃথিবীতে বেড়ে উঠছে। যারা মনে করে এমন কিছু সম্ভব নয়। আমাকে যারা ভোট দিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ।’
দ্য বেস্ট যারা
বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলার: ভিনিসিয়ুস জুনিয়র
বর্ষসেরা নারী ফুটবলার: আইতানা বোনমাতি
বর্ষসেরা পুরুষ কোচ: কার্লো আনচেলত্তি
বর্ষসেরা নারী কোচ: এমা হেইস
বর্ষসেরা পুরুষ গোলকিপার: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ
বর্ষসেরা নারী গোলকিপার: অ্যালিসা নায়েহার
পুসকাস অ্যাওয়ার্ড সেরা গোল : আলেহান্দ্রে গারানাচো
মার্তা অ্যাওয়ার্ড মেয়েদের সেরা গোল মার্তা
ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড : থিয়াগো মাইয়া
ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড : গিলের্মে গানদ্রা মউরা