স্পোর্টস ডেস্ক : না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন স্কটল্যান্ড এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তী ফুটবলার ডেনিস ল। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) তার পরিবার খবরটি নিশ্চিত করেরছ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
এক বিবৃতিতে তার পরিবার জানিয়েছে, ‘দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বলতে হচ্ছে, আমাদের বাবা ডেনিস ল আর নেই। তিনি একটি কঠিন যুদ্ধ করেছেন, কিন্ত অবশেষে তিনি এখন শান্তিতে আছেন। আমরা সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা তার সুস্থতার জন্য তাকে যত্ন করেছেন। আমরা জানি যে লোকেরা তাকে কতটা ভালবাসে।’
ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি সবচেয়ে বেশি সময় পার করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ক্লাবটির হয়ে ৪০৪ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন মোট ২৩৭টি। ১৯৬২ সালে তখন রেকর্ড ট্রান্সফার ফি’তে তিনি নাম লিখিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
এর আগে তিনি খেলেছেন হাডার্সফিল্ড টাউনের হয়ে। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি ক্লাবটিতে খেলেছেন। ক্লাবটির হয়ে ৮১ ম্যাচে ১৬টি গোল করেছেন তিনি। এরপর এক বছর তিনি খেলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। সিটির জার্সিতে ৪৪ ম্যাচে ২১টি গোল করেন ডেনিস ল।
তারপর ১৯৬১-৬২ মৌসুমে তিনি যোগ দেন তোরিনোতে। সেখানে মাত্র ২৭ ম্যাচ খেলে তিনি গোল করেন ১০টি। তারপর সে বছরই রেকর্ড ট্রান্সফার ফি’তে তিনি যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইডেটে। আর ক্লাব ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি সময়টা তিনি পার করেন সেখানেই। তারপর দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি যোগ দিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্লাবটির হয়ে ২৪ ম্যাচে গোল করেন ৯টি।
ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি মোট ম্যাচ খেলেন ৪৮৫টি, গোল করেন ২২৭টি। আর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে স্কটল্যান্ডের হয়ে ৫৫ ম্যাচে গোল করেছেন ৩০টি। ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। এর আগে ১৯৫৯ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত স্কটল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে তিনি তিনটি ম্যাচ খেলেছেন, গোলসংখ্যা মাত্র একটি। একমাত্র স্কটিশ খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন সেনিড ল, ১৯৬৪ সালে।
এক বিবৃতিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড জানিয়েছে, ‘স্ট্রেটফোর্ডের রাজা ডেসিন ল’কে হারানোর জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সবাই শোকাহত। যিনি ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি সবসময় ক্লাবের অন্যতম সেরা এবং সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড় হিসেবেই থাকবেন।’
‘আল্টিমেড গোল স্কোরার, তার স্বভাব, চেতনা এবং খেলার প্রতি ভালোবাসা তাকে একটি প্রজন্মের নায়ক করে তুলেছিল। ডেনিসের পরিবার এবং তার বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। তার স্মৃতি চিরকাল বেঁচে থাকবে।’