স্পোর্টস ডেস্ক : চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হতে আর দিন পনেরোও বাকি নেই। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানের আয়োজনে হাইব্রিড মডেলে দুবাই ও পাকিস্তানে হবে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। আফগানিস্তানের এবার অভিষেক হচ্ছে এই টুর্নামেন্টে, বাকি ৭ দলই পুরোনো। তা সেই দলগুলো কেমন করেছে আগের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে?
সেই রেকর্ডের খোঁজে ভারতের সম্প্রচারক চ্যানেল স্টার স্পোর্টস যা বের করেছে, তাতে বাংলাদেশের মুখ লুকানোরই জোগাড়। আফগানিস্তান আগে কখনো খেলেনি বলে তাদের আর রেকর্ড বলে কিছু নেই, বাকি ৭ দলের মধ্যে জয়ের হারে বাংলাদেশই তলানিতে!
শুধু তলানিতে বললেই ব্যাপারটা বোঝানো যাচ্ছে না, বাংলাদেশের জয়ের হার যেখানে মাত্র ১৮.১%, নিচ থেকে দুই নম্বরে থাকা পাকিস্তানেরও জয়ের হার ৪৭.৮%। সবচেয়ে বেশি জয়ের হার ভারতের – ৬৯.২%!
অবশ্য বাংলাদেশ দাবি করতে পারে, তারা তো ম্যাচই খেলেছে মাত্র ১২টি। ম্যাচ খেলার সংখ্যায়ও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দলটার নাম পাকিস্তান, তারা ম্যাচ খেলেছে ২৩টি। সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা দলের নামও ভারত, তারা ম্যাচ খেলেছে ২৯টি।
অবশ্য ম্যাচের সংখ্যায় এমন ভিন্নতা থাকবে বলেই তো জয়ের সংখ্যা না দেখে তুলনাটা হচ্ছে জয়ের শতকরা হার দিয়ে, যাতে তুলনাটা সমজাতীয় হয়। তা বাংলাদেশ যে ১২ ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে জিতেছে মাত্র ২টি, হেরেছে ৯টি! একটি ম্যাচ বৃষ্টির পেটে গেছে।
পাকিস্তান ২৩ ম্যাচে জিতেছে ১১টিতে, হেরেছে ১২টিতে। আর শীর্ষে থাকা ভারত ২৯ ম্যাচে জিতেছে ১৮টি, হেরেছে ৮টি।
জয়ের হারের হিসেবে ৬০-এর ঘরে ভারত ছাড়া আর একটা দলই আছে – অস্ট্রেলিয়া। তাদের জয়ের হার ঠিক ৬০%-ই। ২৪ ম্যাচে তারা জিতেছে ১২টি, হেরেছে ৮টি।
বাকি থাকা তিন দলের প্রতিটিরই জয়ের হার ৫০-এর ওপরে। ইংল্যান্ড ৫৬% জয়ের হার নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে, ৫৪.৫% জয়ের হার নিউজিল্যান্ডের, আর দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ৫০% ম্যাচ।
শিরোপার বিচারে গেলে তো বাংলাদেশ কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেই এখনো হিসেবে আসার মতো দল হতে পারেনি। সেখানে অস্ট্রেলিয়ারই আধিপত্য – চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা তারা জিতেছে দুবার। সেটাও ২০০৬ ও ২০০৯ সালে টানা দুই টুর্নামেন্টে।
ভারত ১.৫ বার জিতেছে বলা যায়। মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ২০১৩ সালে এককভাবে শিরোপাটা জেতা ভারত এর আগে ২০০২ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শিরোপা ভাগাভাগি করতে বাধ্য হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। এর বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকা (১৯৯৮), নিউজিল্যান্ড (২০০০), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০০৪) ও পাকিস্তান (২০১৭) জিতেছে একবার করে।