স্পোর্টস ডেস্ক : ব্লু টি-শার্ট আর সাদা শর্টস পরে ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে নাসির হোসেন আড্ডায় মেতে ওঠেন সতীর্থদের সঙ্গে। ম্যাচ শেষে নাসিরের জন্য অপেক্ষায় তখন শত ক্যামেরা। দেড় বছরেরও বেশি সময় পর মাঠে ফেরা নাসির সব আলো কেড়ে নিয়েছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে, ঢাকা লিগের খেলায় মাঠে নামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স-রূপগঞ্জ টাইগার্স। তবে ম্যাচে ছাপিয়ে আলোচনায় ছিল নাসিরের ফেরা। অপেক্ষামাণ সংবাদমাধ্যমকে হতাশ করেননি, ড্রেসিং রুম থেকে ফিরতে ফিরতে খুনসুটিতে মেতেছিলেন, এক পর্যায়ে বলেন, “কই দাঁড়াবো?”
প্রথম প্রশ্নই ছিল ফেরা নিয়ে। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে কেমন লাগছে নাসিরের? “অবশ্যই ভালো লাগছে। যেই জিনিসটা মিস করছিলাম, ক্রিকেট খেলা। তাই অবশ্যই খুব ভালো লাগতেছে অনেক দিন পর ক্রিকেট খেলে। এই তো।”
২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলার সময় একটি আইফোন উপহার পেয়েছিলেন নাসির। তথ্য গোপন করায় ছয় মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন। নিষেধাজ্ঞার অন্যান্য শর্তে সন্তুষ্ট করার প্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল তার ক্রিকেটে ফেরার কথা ছিল। সময় ক্ষেপণ না করে আজই মাঠে নেমে গেছেন।
দেড় বছর কেমন কেটেছে? “আলহামদুলিল্লাহ। আমার একটা সন্তান আছে। পরিবার আছে। সুখে আছি। ভালো আছি। যাদের নাম হয়, তাদের বদনামও হয়। এটাই স্বাভাবিক।”
“দেড় বছর বাইরে ছিলাম। বিন্দাস ছিলাম। আর কী বলব (হাসি)। পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। ভালো ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ। খেলা মিস করেছি ঠিক আছে। তবে পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। ভালো ছিলাম”-যোগ করেন নাসির হোসেন।
ফেরার ম্যাচে পারফরম্যান্স অবশ্য বলার মতো ছিল না। ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেন ৯ রান। তবে শেষ পর্যন্ত তার দল জিতেছে।
আরেকটু সতর্ক হলে নাসিরের ক্যারিয়ার আরও সুন্দর হতো কি না? নাসির বলেন, “কেয়ারফুল আমি আলহামদুলিল্লাহ্ যেমন ছিলাম, ভালোই ছিলাম। খেলাধুলা নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না। ইনডিসিপ্লিন ছিলাম না। খেলাধুলায় ফাঁকি মেরেছি- তাও নয়।”
“আর আমার জীবন আমি কীভাবে লিড করব সেটা আমার ব্যাপার। আমার জীবন তো আপনারা বলে দেবেন না। আপনি শুধু দেখবেন আমি মাঠে কেমন আছি। আমি যদি মাঠের ক্রিকেটে কোনো কিছু খারাপ করে থাকি, তখন আপনারা বলতে পারেন।”