বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:৩৮:১১

কপাল খারাপ নেইমারের!

কপাল খারাপ নেইমারের!

স্পোর্টস ডেস্ক : ইনজুরির কারণে দেড়মাস মাঠের বাইরে কাটিয়ে গত ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার। রাজিলিয়ান সিরি আ'য় ফ্লুমিনেন্সের বদলি নেমে দলের হার ঠেকাতে পারেননি সান্তোস তারকা। আজ ফের মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। 

এবার প্রথম একদশেই। অ্যাতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে লিগের ম্যাচটিতে জয় পেয়েছে সান্তোসও। তবু নেইমার মাঠ ছেড়েছেন কাঁদতে কাঁদতে। না কেঁদে আর উপায়ই বা কী! পুরনো শত্রু যে ফের চোখ রাঙানি দিচ্ছে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে।

নেইমারের ভুল প্রত্যাশিত 'হোম কামিং'ও ক্রমে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে ইনজুরির চোখ রাঙানিতে। ইনজুরির কারণে এক মাস মাঠের বাইরে কাটিয়ে খেলায় ফেরা নেইমার যে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলতেই ফের ইনজুরি শঙ্কায়। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সিরি আ'য়  অ্যাতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে সান্তোসের ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচে প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে ছিলেন নেইমার। কিন্তু ম্যাচের ৩৪ মিনিটের মাথায় উরুর ইনজুরিতে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

এই ম্যাচটি ব্রাজিল তারকার জন্য একটু বিশেষই ছিল। সান্তোসের ঘরের মাঠ ভিলা বেলমিরোয় নিজের শততম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে ১০০ নম্বর জার্সি গায়ে নেমেছিলেন তিনি। তার দুই পায়েই এ সময় সাদা গজফিতা বাঁধা দেখা যাচ্ছিল। ইনজুরির প্রতিরক্ষা হিসেবে এই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হলো না।

মাঠে নামার কিছুক্ষণ পরই তার বাঁ পায়ের উরুতে অস্বস্তি দেখা যায়। কিছুদিন আগে কাম্পেওনাতো পাউলিস্তার ম্যাচ খেলার সময় একই পায়ের ঠিক একই জায়গায় ইনজুরি নিয়ে ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছিলেন নেইমার।

এদিন সান্তোসের দ্বিতীয় গোলের কিছুক্ষণ পরেই বদলি খেলোয়াড় নামানোর জন্য বেঞ্চের দিকে ইঙ্গিত করতে থাকেন নেইমার। এরপরই মাঠে পড়ে যান তিনি এবং মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য চেয়ে পাঠান।

মাঠ ছাড়ার আগে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই ব্রাজিলিয়ান।  এ সময় দুই দলের খেলোয়াড়রা এগিয়ে এসে তাকে সান্ত্বনা দেন। এদের মধ্যে ছিলেন তার জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ হাল্কও। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পরপরই তার চিকিৎসা শুরু হয়। এ সময় তার উরুতে আইসপ্যাক লাগানো হয়।

উরুর এই ইনজুরির কারণে গত মাসে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ দুটি খেলতে পারেননি নেইমার। ২০২৩ সালের অক্টোবরে উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে এসিএল ইনজুরিতে পড়ার পর আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলের মালিক নেইমার।

সৌদি ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে ঘরে ফিরলেও ইনজুরি পিছু ছাড়ছে না নেইমারের। একের পর এক ইনজুরিতে ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে তার ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্নও। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে