স্পোর্টস ডেস্ক : খবরটা শুনে মর্মাহত হয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই টুইট করে শোকবার্তা পাঠিয়েছিলেন তিনি। পরে ‘মুম্বাই মিরর’–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন শচিন টেন্ডুলকার। মাস্টার ব্লাস্টার জানিয়েছেন, তার কাছে ডালমিয়া ছিলেন বিশেষ একজন মানুষ।
ডালমিয়ার সঙ্গে তার শেষ কথার প্রসঙ্গ টেনে শচীন বলেছেন, ‘মনে আছে, এই বছরে আমরা (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স) আই পি এল জেতার পর ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ইডেনে যখন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলছিল, একটা জায়গায় একা দাঁড়িয়েছিলেন উনি। আমি ওনাকে দেখে এগিয়ে যাই। তারপর কিছুক্ষণ কথা হয়েছিল। পরস্পরের সঙ্গে কথা বলতে আমরা বরাবরই ভালবাসতাম।’
তারপরেই শচীন জুড়ে দিয়েছেন, ‘আমাদের শেষ আলোচনা হয়েছিল কলকাতাতেই। ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির সভায়। সেই সভাই প্রমাণ, তিনি চাইছিলেন ক্রিকেট নিয়ে আরও নতুন কিছু ভাবতে, সেগুলো কার্যকরী করতে। তিনি চাইছিলেন, বোর্ড যেন কোনও কিছুই এড়িয়ে না যায়।’ মুম্বাইয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আগের টেস্ট শচীন খেলেছিলেন ইডেনে। সেই স্মৃতিও মেলে ধরেছেন খুদে চ্যাম্পিয়ন।
শচীন বলেছেন, ‘ইডেন টেস্টকে বিশেষ করে তুলতে তিনি সবরকম চেষ্টা করেছিলেন। কলকাতা যাওয়ার আগে উনি আমাকে ফোন করেছিলেন। কলকাতায় পৌঁছনোর সব কিছুই ছিল নন–স্টপ। আমার যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য সব দিকে ছিল ওনার নজর। ওই ৫–৬টা দিন ওর প্রশ্রয় পেয়েছিলাম খুবই।’
কথা বলতে বলতে শচীন জানিয়েছেন, যখনই তিনি সাফল্যের রাস্তায় হেঁটেছেন, অভিনন্দন পেয়েছেন ডালমিয়ার কাছ থেকে। কিন্তু খারাপ সময়ে পাশ থেকে সরে যাননি। বরং উৎসাহ জুগিয়ে গেছেন ক্রমাগত। শচীনের কথায়, ‘ভাল খেললে, সে আমি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকতাম না কেন, প্রথম অভিনন্দন আসত ওনার কাছ থেকে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট যখন নিজেই ফোন করে অভিনন্দন জানান, তখন ব্যাপারটা সত্যিই অন্যরকম হয়।’
এখানেই না থেমে শচীনের সংযোজন, ‘খুব সাহায্য করতেন উনি। শুধু আমাকে নয়, সব ক্রিকেটারকেই। কোনও সমস্যা হলেই ক্রিকেটারদের স্বার্থের দিকে খেয়াল রাখতেন। ক্রিকেট এবং ক্রিকেটার, উভয়ের যত্ন নিতেন। তিনি ছিলেন খেলোয়াড়দের প্রশাসক।’
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি