স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ ক্রিকেটবিশ্ব। কিন্তু এমন শোকের সময়ও ক্ষমতা হাতিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন কিছু সুবিধাবাদীরা! ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পরবর্তী সভাপতি অর্থাৎ কে হচ্ছেন ডালমিয়ার উত্তরসূরি তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বাকযুদ্ধ। শ্রীনিবাসন নাকি ওপর মহলের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছেন। পর্যবেক্ষকরাও সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে বোর্ড সভাপতি ডালমিয়ার মৃত্যুতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ পদটি দখলের জন্য নতুন করে শুরু হতে পারে নোংরা রাজনীতি। শ্রীনিবাসনের স্বেচ্চাচারিতা এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতীয় উচ্চ আদালত তাকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ডালমিয়া।
কিন্তু বয়সের কারণে শুরু থেকেই কিছুটা অস্বস্তিবোধ করছিলেন তিনি। তারপরেও তিনি শ্রীনির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গেছেন। তারপর রবিবার তো পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলেই গেছেন। তবে ডালমিয়ার মৃত্যু নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ডালমিয়ার পরিবারের দাবি, ডাক্তাররা চিকিৎসায় অবহেলা দেখিয়েছেন। কেউ কেউ আবার ষড়যন্ত্রের গন্ধও পাচ্ছেন। কেননা ডালমিয়া বেঁচে থাকতে শ্রীনি তো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে ভিড়তেও পারেননি। তাই এক্ষেত্রে তার (শ্রীনির) কোনো চক্রান্ত আছে কিনা... বিষয়টি চিন্তায় ফেলছে ডালমিয়ার ভক্তদের।
এদিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ পদটি দখলের জন্য শ্রীনিবাসনের সমর্থকদের দৌড়াদৌড়ি অনেককে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। তবে ভারতীয় পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, বিসিসিআইয়ের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অনুরাগ ঠাকুরের সমর্থকরাও এরই মধ্যে শীর্ষ পদটি দখলের জন্য তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। বিসিসিআই’র জন্য সামনে কঠিন একটি সময় অপেক্ষা করছে।অনুরাগ ঠাকুর হচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির যুব উইংয়ের প্রধান। যে কারণে তিনি বোর্ডে এখনো নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছেন।
তাছাড়া ডালমিয়াও অনুরাগ ঠাকুরকে পছন্দ করতেন। তাই শ্রীনি ক্ষমতাধর হলেও অনুরাগের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেননি। কিন্তু ডালমিয়ার মৃত্যুর পর দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও লড়াই চরমে উঠবে তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন দুই গ্রুপের সমর্থকরা। তবে বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি শুরু করে দিয়েছেন শ্রীনি। কে কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে মিশছেন তা নজর রাখার জন্য নাকি প্রাইভেট গোয়েন্দাও নিয়োগ দিয়েছেন শ্রীনিবাসন। আর বিসিসিআই’ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করার জন্য প্রাইভেট গোয়েন্দা নিয়োগের জন্য শ্রীনিবাসনের কঠোর সমালোচনা করেছেন অনুরাগ ঠাকুর।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে