স্পোর্টস ডেস্ক : আবারো ব্যাটিং ব্যর্থতা। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে না আসতে পারায় ওয়ানডের পর তিন দিনের ম্যাচেও ব্যাটিং বিপযয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। মাইসোরে কর্ণটকের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ মাত্র ১৫৮। জবাবে ভারতের কর্ণটকের দলটিও ভালো করেনি। ৬ উইকেটে ১৬৩ রানে দিন শেষ করেছে তারা। ৫ রানের লিড নিয়েছে রঞ্জি ট্রফির চ্যাম্পিয়ন দলটি।
টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৫৮ রানে শেষ হয় মুমিনুল হকদের ব্যাটিং। যার মধ্যে ১০৫ রানই এসেছে লিটন দাস ও শুভাগত হোমের ব্যাট থেকে। নয় ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন ৪৬ রান। বাকি ৭ রান এসেছে ‘মিস্টার এক্সট্রা’থেকে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেছেন শুভাগত, ৫৫ রান। লিটনের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ রান। ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকলাইন সজীব। এ ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। কর্নটকের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন মুরলিকৃষ্ণ প্রাসিধ।
ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা না-হতেই সাজঘরে ফেরেন রনি তালুকদার। মুরলিকৃষ্ণ প্রাসিধের বলে শিশির ভবানিকে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের এই ওপেনার। দলীয় ১ রানে সরথের বলে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ১ রান করা মুমিনুল।
১ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন লিটন দাস ও এনামুল হক। কিন্তু দলীয় ২৭ রানে প্রাসিধের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান এনামুল। একই ওভারে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। ওয়ানডে সিরিজে দারুণ খেলা নাসির হোসেনও এদিন ব্যর্থ হয়েছেন। দলীয় ৪১ রানে তার বিদায়ে পঞ্চম উইকেট হারায় সফরকারীরা। নাসিরের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান।
এরপর শুভাগত হোমের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন একপ্রান্ত আগলে রাখা লিটন দাস। অন্য ব্যাটসম্যানদের হতাশার দিনে লিটন অনেকটা আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ফিফটিও পূরণ করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৫০ রানেই তার বিদায়ে শুভাগত হোমের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি ভাঙে। ৫০ বলে ১১ চারের সাহায্যে ৫০ রানের ইনিংসটি সাজান লিটন।
লিটন ফিরলেও কামরুল হাসান রাব্বিকে নিয়ে দলের স্কোর ১০০ পার করেন শুভাগত। কিন্তু দলীয় ১০৪ রানে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরে যান রাব্বি। স্কোরবোর্ডে আর ৫ রান জমা হতেই বিদায় নেন নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা জুবায়ের হোসেন। তবে নবম উইকেটে সাকলাইন সজীবের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফিফটি তুলে নেন শুভাগত। যদিও ফিফটির পর তিনিও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি।
ব্যক্তিগত ৫৫ রানে শুভাগত ফিরলে সজীবের সঙ্গে তার ৩৯ রানের জুটি ভেঙে যায়। এরপর আল-আমিন হোসেনকে নিয়ে কোনোমতে দলের স্কোর দেড়শ পার করেন সজীব। দলীয় ১৫৮ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন আল আমিন। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংস স্থায়ী হয় মাত্র ৩৮.৩ ওভার।
স্বল্প পুঁজিতে লড়াই চালিয়ে যান দুই স্পিনার সাকলায়েন সজীব ও শুভাগত হোম। দুজন মিলে ভারতের দলটির ছয় উইকেট নেন। ১০০ রান তুলতেই ছয় উইকেট হারায় কর্ণটক। সপ্তম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ৬৩ রান যোগ করেন শিশির ভাবানে ও জাগাদ্দেশা সুচিত। দিন শেষে শিশির ভাবানে ৫৫ ও সুচিত ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বুধবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে দশটায়।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে