স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনার কমতি ছিল না, তবে মাঠের ক্রিকেটে সেই উত্তেজনার ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না। ব্যাটিং-বোলিংয়ে ছন্নছাড়া পাকিস্তানকে এশিয়া কাপের ম্যাচে পাত্তাই দিলো না ভারত। ২৫ বল থাকতে ভারত তুলে নিল ৭ উইকেটের বড় জয়।
দুবাইয়ে এশিয়া কাপের চলতি আসরে এটি ভারতের টানা দ্বিতীয় জয়। এই জয়ে ভারত যথারীতি পৌঁছে গেল সুপার ফোরের দোড়গড়ায়। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচ ভারত ৯ উইকেটে হারিয়েছিল আরব আমিরাতকে।
টসে জিতে পাকিস্তান দুবাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটে আগে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তাদের এই সিদ্ধান্ত যে পুরোদুস্তর ভুল প্রমাণিত হয় খানিকবাদেই। ম্যাচের প্রথম বলেই পাকিস্তান উইকেট হারায়। ওপেনার সিয়াম আইয়ুব পেসার হার্দিক পান্ডিয়ার সহজ বলে ক্যাচ তুলে দেন গালিতে শূন্য রানে। পরের ওভারে নিজের প্রথম বলেই জাসপ্রিত বুমরাও একইভাবে সাফল্য পান। ওমানের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি হাঁকানো মোহাম্মদ হারিস ৩ রান করে ফিরেন। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬ রান জমা হতেই পাকিস্তানের দুই উইকেট নেই। সেই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি পাকিস্তান। মাঝে কেবল ওয়ানডাউন ব্যাটার সাহেবজাদা ফারহান কিছুটা পাল্টা আক্রমণ চালান। ১৭তম ওভারে ফারহান ৪৪ বলে ৪০ রান করে আউট হন তখন দলের রান একশও পার হয়নি, পৌছায় ৮৩ রানে। আর এই রানের অর্ধেকই ফারহানের। শেষের দিকে বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদির চার ছক্কায় ১৬ বলে ৩৩ রানের কল্যাণে পাকিস্তানের স্কোর তিন অংকের কোটা পার করে। কুলদীপ, অক্ষর প্যাটেল ও বরুন চক্রবর্তী-এই ত্রয়ীর স্পিনের কোনো জবাবই খুঁজে পায়নি পাকিস্তান। কুলদীপ আগের ম্যাচের মতো এদিনও ৩ উইকেট শিকার করেন।
ভারত এই ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে ঝড়ো শুরু করে। তবে শুভমান গিল অতিমাত্রায় আক্রমনাত্মক হতে গিয়ে উইকেট খোয়ান। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা ১৩ বলে ৩১ রান তুলে জানিয়ে দেন টি- টোয়েন্টিতে তিনি বোলারদের পেটাতে ভালোবাসেন। মিডল অর্ডারে তিলক ভার্মার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৩১ রান। আর ব্যাট হাতে জয়ের ফিনিসিং টানেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ৩৭ বলে অপরাজিত ৪৭ রান করে দলকে ৭ উইকেটের বড় জয় এনে সুপার ফোরে পৌঁছে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান ১২৭/৭ (২০ ওভারে, ফারহান ৪০, আফ্রিদি ৩৩, কুলদীপ ৩/১৮, অক্ষর ২/১৮, বুমরাহ ২/২৮, বরুন ১/২৪, হার্দিক ১/৩৪)। ভারত ১৩১/৩ (১৫.৫ ওভারে, অভিষেক ৩১, সূর্যকুমার ৪৭*, তিলক ৩১, সিয়াম আইয়ুব ৩/ ৩৫)। ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: কুলদীপ যাদব।