স্পোর্টস ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠেছে পাকিস্তান। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হলো চলতি আসরে আরও অন্তত একবার ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখা যাবে। ম্যাচটি কবে হবে সেটিও চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আবার ভারতের মুখোমুখি হবেন সালমান আলি আঘারা। ম্যাচের ভেন্যু দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
এশিয়া কাপের সূচি অনুযায়ী আগেই নির্ধারিত ছিল সুপার ফোরে ওঠা সব দল নিজেদের মাঝে ফের মুখোমুখি হবে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে ওঠা দুই দল যে ২১ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হবে সেটাও চূড়ান্ত ছিল আগে থেকেই। বাকি ছিল কেবল দলগুলোর জায়গা নিশ্চিত করা। ভারত আগেই সুপার ফোরে উঠলেও পাকিস্তানকে বেশ ঘাম ঝরিয়েই উঠতে হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নানা টালবাহানার পর খেলতে নামে পাকিস্তান। তবে ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি তাদের। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত। এদিন টস জিতে প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি।
দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান (৫) এবং সাইম আইয়ুব (শূন্য) দ্রুত আউট হয়ে যান। দলকে ভরসা দিতে পারেননি সালমান (২০), হাসান নওয়াজ (৩), খুশদিল শাহরাও (৪)। এক সময় ৯৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে চায় পাকিস্তানের ইনিংস। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন তিন নম্বরে নামা ফখর জামান। তিনি ৩৬ বলে ৫০ রান করেন।
পাকিস্তানকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন শাহিন আফ্রিদি। ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৪ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। এ ছাড়া মোহাম্মদ হারিস করেন ১৪ বলে ১৮। আমিরাতের সফলতম বোলার জুনাইদ সিদ্দিকি ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন। ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন শুভমান গিলের ছোটবেলার বন্ধু সিমরণজিৎ সিং।
জয়ের জন্য ১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় আমিরাত। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের সামনে প্রয়োজনীয় জুটি তৈরি করতে পারেননি দলটির ব্যাটাররা। আলিশান শারাফু (১২), ওয়াসিম (১৪), মোহাম্মদ জোহাইবেরা (৪) দ্রুত আউট হয়ে গেছেন। ৩৭ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর কিছুটা লড়াই করেন পরাশর এবং রাহুল চোপড়া।
পরাশর ২৩ বলে ২০ ও চোপড়া ৩৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। এরপরে আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। ইনিংসের শেষ ১৭ বলে ৬ উইকেট হারায় আমিরাত। পাকিস্তানের আবরার আহমেদ ১৩ রানে ২ উইকেট নেন। ১৮ রানে ১ উইকেট আয়ুবের। শাহিন ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট ও রউফ ১৯ রানে ২ উইকেট নেন।