স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটারদের প্রতি ক্ষোভ এবার সীমা ছাড়িয়ে পৌঁছেছে হেনস্তায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে লজ্জাজনক ধবলধোলাইয়ের পর দেশে ফেরার রাতেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একদল ব্যক্তির হাতে অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও তাসকিন আহমেদসহ কয়েকজন ক্রিকেটার।
ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিসিবি।
বিসিবির এক দায়িত্বশীল পরিচালক বৃহস্পতিবার রাতে দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনাটি অবহিত করা হয়েছে এবং ফুটেজ দেখে সংশ্লিষ্টদের শনাক্তের কাজ চলছে। একই সঙ্গে মিরপুরে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ম্যাচ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া উসকানিমূলক এক হুমকিমূলক পোস্টও তাদের নজরে এসেছে।
‘দুটি বিষয়ই আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করেছে। সরকারও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে,’ — নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির পরিচালক বলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরার পর বুধবার রাতে বিমানবন্দরে ঘটে এই ঘটনা। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কিছু ব্যক্তি মোহাম্মদ নাঈমের গাড়ির জানালার কাছে গিয়ে গালাগাল করছে, “ভুয়া, ভুয়া” স্লোগান দিচ্ছে। একই রকম দৃশ্য দেখা গেছে তাসকিন আহমেদের গাড়ির আশপাশেও।
হেনস্তাকারীদের কবল থেকে রক্ষা পেতে ক্রিকেটাররা দ্রুত গাড়িতে উঠে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
এদিকে, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার শুরু হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ ঘিরে এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মিরপুরের কিছু ভাই ব্রাদার মিলে একটা টিম গঠন করতেসি, যারা মাঠে গিয়ে এই দলের সমর্থকদের শায়েস্তা করবে।’
তিনি আরও হুমকি দেন, কেউ “বেধড়ক মার খেলে” দায় নেবে না মিরপুরবাসী।
এই পোস্টকে নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে দেখছে বিসিবি। ওই পরিচালক বলেন, ‘খারাপ খেলার সমালোচনা হতেই পারে, কিন্তু এমন উসকানিমূলক হুমকি অগ্রহণযোগ্য। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, স্টেডিয়াম যেন খেলোয়াড় ও দর্শক উভয়ের জন্য নিরাপদ থাকে।’
বাংলাদেশ দল সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি সাফল্যের পর ওয়ানডে সিরিজে হারের ধাক্কা সামলে উঠার আগেই বিমানবন্দরের এই অপ্রীতিকর ঘটনা আরও একবার প্রশ্ন তুলেছে—খেলার মাঠের ব্যর্থতা কি এমন অমানবিক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার যোগ্য?