 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে অপরাজিত ১২৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ভারতকে তৃতীয়বারের মতো নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছেন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। ম্যাচ শেষে চোখ ভেজানো কণ্ঠে তিনি জানালেন নিজের মানসিক লড়াইয়ের গল্প।
২৫ বছর বয়সী জেমিমাহর টুর্নামেন্টটা ছিল উত্থান-পতনে ভরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলে ফিরে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন তিনি। আর সেমিফাইনালে যা করলেন, সেটা তো এককথায় অনবদ্য।
তাই ম্যাচ শেষে আবেগঘন জেমিমাহ বলেন, ‘আজ আমার পঞ্চাশ বা শতক কোনো ব্যাপার ছিল না, আজ ভারতের জয়টাই মুখ্য ছিল। আমি জানি কয়েকটা সুযোগ হাতছাড়া করেছি, কিন্তু ঈশ্বরই আমাকে পুরো ইনিংসজুড়ে সামলে নিয়েছেন।’
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন জেমিমাহ।
ওই সময় তিনি কঠিন সময় পার করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত বছর আমাকে বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তখনো আমি ফর্মে ছিলাম, কিন্তু নানা কিছু ঘটছিল। আমার চারপাশে অসাধারণ মানুষ ছিল, যারা আমাকে সহায়তা করেছে।
আমি প্রতিদিন কেঁদেছি, উদ্বেগে ভুগেছি। প্রতিদিন নিজেকে সামলাতে হয়েছে, ঈশ্বরই আমাকে এগিয়ে নিয়েছেন।’
নিজের ইনিংসের সময় বাইবেলের একটি বাণী মনে করে সাহস পেয়েছেন জেমিমাহ। “শেষের দিকে আমি শুধু একটি বাণী বলছিলাম, ‘স্থির থাকো, ঈশ্বর তোমাকে সাহায্য করবেন।’ আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করছিলাম। যখন দেখলাম ভারত জিতে গেছে, নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি।”
জেমিমাহ আরো জানান, দীপ্তি শর্মা, হরমনপ্রীত কৌর ও রিচা ঘোষ পুরো সময় তাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। ‘যখন হ্যারি দি (হরমনপ্রীত) এলেন, আমরা পার্টনারশিপ গড়ার কথা বলেছিলাম। দীপ্তি প্রতিটি বলে আমার সঙ্গে কথা বলছিল, রিচাও অনেক কথা বলেছে। যখন আমি কঠিন সময় পার করছিলাম, সতীর্থরা আমাকে উজ্জীবিত করেছে। দর্শকেরাও আমার নাম ধরে চিৎকার করছিল, ওরাই আমাকে শক্তি দিয়েছে।’
চমকপ্রদভাবে, ম্যাচের আগে জানতেনই না তিনি তিন নম্বরে নামবেন। জেমিমাহ বলেন, ‘পাঁচ মিনিট আগে জানানো হয় আমি তিনে নামব। এটা নিজেকে প্রমাণের ব্যাপার ছিল না, বরং ভারতকে জিতিয়ে আনার ব্যাপার ছিল।’
ভারত আগামী ২ নভেম্বর ফাইনালে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার।