স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসির ১ গোল ও ৩ অ্যাসিস্টে সিনসিনাতিকে হারিয়ে এমএলএস প্লেঅফ কাপের ফাইনালে উঠলো ইন্টার মায়ামি। সিনসিনাতি হেরেছে ৪-০ গোলে। সেমিফাইনালে নাশভিলের বিপক্ষেও একই ব্যবধানে জিতেছিল তারা, সেদিন মেসি জোড়া গোলের পাশাপাশি করেছিলেন এক অ্যাসিস্ট।
ইন্টার মায়ামির এটা প্রথমবারের মতো এমএলএস প্লেঅফ কাপের ফাইনালে উঠা। ক্লাবের ইতিহাসে তো পারেইনি, ইন্টার মায়ামি লিওনেল মেসিকে দলে ভেড়ানোর দুই প্রথম মৌসুমে ফাইনাল তো দূরের কথা, প্লেঅফেও উঠতে পারেনি। গত মৌসুমে বাদ পড়েছিল প্রথম রাউন্ড থেকে, আর ২০২৩ মৌসুমে তো প্লেঅফে উঠাই হয়নি।
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেখানে মেসি করেন এক গোল, সেই ফর্ম ইন্টার মায়ামিতে তো টেনে আনলেনই, হলেন আরও ক্ষুরধার। ওহিওর টিকিউএল স্টেডিয়ামে ১৯ মিনিটে এই আর্জেন্টাইন তারকাই হেডে মায়ামির গোলের খাতা খুলেন। প্রথমার্ধে অবশ্য মায়ামি আর গোলের দেখা পায়নি।
মেসি পরের সবগুলো গোলে অবদান রাখেন। মাতেও সিলভেতিকে দিয়ে গোল করার পর জোড়া অ্যাসিস্ট করেন তাদেও অ্যালেন্দের গোলে। স্বস্তির জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে উঠলো তারা। ফাইনালে আগামী ২৯/৩০ নভেম্বর মুখোমুখি হবে নিউইর্য়ক সিটির।
মেজর লিগ সকারের এই মৌসুমটা মেসির জন্য স্পেশাল। প্রথম পর্বে সর্বোচ্চ ২৯ গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট পুরস্কার। ফলস্বরূপ জায়গা করে নিয়েছিলেন বর্ষসেরা একাদশেও। অবশ্য সতীর্থদের মধ্যে আর কেউ সেই তালিকায় স্থান পাননি। মেসি লিগসেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন গত মৌসুমেও।
প্লেঅফ পর্বেও মেসির অনবদ্য পারফরম্যান্স। গোল-অ্যাসিস্ট মিলিয়ে মৌসুমপরবর্তী খেলায় তিনি অবদান রেখেছেন ১২ গোলে। ফাইনালে উঠার দৌড়ে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন একেবারের সামনে থেকে।