স্পোর্টস ডেস্ক : রাজনীতির পথ এখনও বাকিআন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও দেশে একটি বিদায়ী সিরিজ খেলার আশাই তাকে খেলে যেতে উদ্বুদ্ধ করছে, জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে তিনি জানিয়েছেন, ক্রিকেটের পর রাজনীতিতেই সক্রিয় থাকবেন।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আবুধাবি টি-টেন, আইএল টি-টোয়েন্টি—পর্বক্রমে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরে খেলছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও দেশের মাটিতে একটি বিদায়ী সিরিজ খেলার আশা তাকে এখনো মাঠে রাখছে।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার মঈন আলির সঙ্গে ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে সাকিব আল হাসান ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে খুলে বলেছেন। তিনি শেয়ার করেছেন শুরুর দিনগুলো, ক্রিকেটের বিকাশ, বাংলাদেশ দলের পরিবেশ এবং নিজের অবসর পরিকল্পনা।
সাকিব আরও জানিয়েছেন, পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হলেও দেশের জন্য খেলবেন এবং রাজনীতিতেও সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। এই আলাপের মাধ্যমে তিনি তাঁর ক্রিকেট ও ব্যক্তিগত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন।
এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর ঘোষণা না করলেও সাকিবের ইচ্ছে, দেশে ফিরে একটি বিদায়ী সিরিজ খেলা। এরপরই তার মনোযোগ পুরোপুরি থাকবে রাজনীতিতে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অধ্যায় প্রায় শেষ। তবে রাজনীতির পথ এখনও বাকি। বাংলাদেশের মানুষ ও মাগুরাবাসীর জন্য কাজ করাই আমার ইচ্ছা ছিল এবং আছে। দেখা যাক, আল্লাহ আমাকে কোথায় নিয়ে যান।’
২০২৪ সালের অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাংসদ পদ হারান সাকিব। এরপর দেশের বাইরে অবস্থান করতে থাকা এই তারকা আর দেশে ফিরতে পারেননি। হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামিও হতে হয়েছে তাকে।
বাংলাদেশের জার্সিতে সাকিব শেষ খেলেছেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে। ওই ম্যাচের আগেই তিনি জানিয়েছিলেন নিজের অবসর পরিকল্পনা- মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায়ী টেস্ট এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান। কিন্তু ইচ্ছাগুলোর কোনোটিই পূরণ হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্কোয়াডে থাকলেও মাঠে নামা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই পৌঁছানোর পর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাকে দেশে ফিরতে নিষেধ করা হয়। পরবর্তী নানা ঘটনার পর সরকার-ঘনিষ্ঠ নীতিনির্ধারকেরা প্রকাশ্যে জানান, সাকিবকে আর বাংলাদেশে খেলতে দেওয়া হবে না।