স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো সাফল্য নেই। দলের ক্রিকেটাররা ওই সাফল্য এটা-ওটা বলে ব্যাখ্যা দেন।
কিন্তু কাগজ আর কলমের হিসাবে দেখা গেছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে খারাপ খেলেছে বাংলাদেশ।
কল্পনার রঙে ভালো খেলার দৃষ্টান্ত দেখছেন কেউ কেউ। এর কারণ কি এর রহস্য ফাঁস হয়েছে বিসিবি কর্মকর্তাদের কথার মধ্যে দিয়েই।
যে দেশটি এবারের টি-টোয়েন্টিতে একটি ম্যাচেও জয় পায়নি তার নাম বাংলাদেশ। সুপার টেনের সবার নিচের যে দেশটি সেটি বাংলাদেশ।
ধারনা করা হয়েছিল এবারের টি-টোয়েন্টি খেলার মাধ্যমে র্যাকিংয়ে উন্নতি হবে বাংলাদেশের। কোথায় উন্নতি?
কেউ কেউ বলছেন ১০ বছর পিছিয়ে গেছে দেশ। হাথুরু বেশ উন্নতি দেখছেন নিজেদের রক্ষার জন্য দেখেছে। আফগানিস্তান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েষ্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে।
আর বাংলাদেশ কি করেছে? নাসির ও সোহানের সাথে দ্বন্দ্বের বিষয়টি সত্য বলেই প্রমাণিত হয়েছে। বিসিবি সভাপতি এর আগে যা বলেছিলেন তার সত্যতাও মিলছে অনেকটা।
নাসির হোসেন মোবাইলে অনেক কথা বলেন। অনুশীলনে সে মনোযোগ খুব কমই দেয়। দল খারাপ করেছে বলেই ভক্তদের আগ্রহ তাকে নিয়ে।
কিন্তু কোন্দলের কারণে সোহান ও নাসির কাউকে একাদশে নেয়া হয়নি। ভালো ভালো ক্রিকেটারদের বসিয়ে রেখে তাহলে সুপারটেনে এই দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে কি লাভ হয়েছে বিসিবির?
সৌম্য সরকার মোবাইলে কথা বলতে থাকেন। ঘণ্টা পেরিয়ে যায় এর পরেও কথা বলছেন। বিসিবির মুখ্য কর্মকর্তারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
মেয়েদের সাথে তাদের আলাপচারিতা হয়েছে অনেক। গোটা আসরে খারাপ খেলেছেন সৌম্য। লজ্জায় ডুবিয়েছেন দলকে।
দলের ক্রিকেটাররা নিজেদের দায়িত্বশীল ভাবলে বাংলাদেশ আরও ভালো ফলাফল করত। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে জয়ের মত অবস্থা ছিল বাংলাদেশের।
এখানেও হেরে যায় বাংলাদেশ দল। খেলোয়াড়দের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ এর জন্য দায়ী।
২৯ মার্চ ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর