বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬, ০৯:৩৩:৫২

নিউজিল্যান্ডকে ফেভারিট মানছেন কপিল দেব

নিউজিল্যান্ডকে ফেভারিট মানছেন কপিল দেব

স্পোর্টস ডেস্ক: একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচের অপেক্ষায় আছি। এটি সত্যি যে প্রাধান্য বিস্তার করতে প্রতিটি দল মাত্র ১২০ বল হাতে পায়। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই তো উত্তেজনা আর উল্টাপাল্টা ঘটনার ছড়াছড়ি। ফর্মে থাকুন কিংবা না থাকুন, সবারই চেষ্টা থাকে শুরু থেকে সেরাটা দেওয়ার। তবে সব সময় যে তা হবে এমন নয়।

ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পরই আমার মাথায় এল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের ওই ম্যাচটির কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ‘নির্যাতন’ চালিয়েছিল তারা। ২৩০ তাড়া করেও জিতে গিয়েছিল ম্যাচ। এটিও এমন একটি দল করল, যারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না। ইংল্যান্ড কখনো নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারে না এবং এ জন্য প্রায়ই জেতা ম্যাচ হেরে যায়।

নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রেও এটি সত্যি। এই ম্যাচটি তাদের নিজেদের সামর্থ্য বোঝার সুযোগ। অতীতে অনেকবারই লক্ষ্যের কাছে এসে পথ হারিয়েছে তারা। আজ দুই দলের মাঝে নিউজিল্যান্ডই এগিয়ে থাকবে। অন্যরা কী বলবে জানি না, ভারতকে যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাব দেখিয়ে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড, সে জন্যই আমার চোখে তারা এগিয়ে। স্পিন মৃগয়া নাগপুরে ভারতকে ওদেরই চাল দিয়ে মাত করেছিল নিউজিল্যান্ড।

বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে অভাগা দলগুলোর একটি বলতে পারেন তাদের। সেরা কিছু খেলোয়াড় সব সময়ই ছিল, কিন্তু সামর্থ্য অনুযায়ী সাফল্য কখনোই পায়নি। অবিশ্বাস্য সব ঘটনা ঘটানোর জন্য বিখ্যাত এ দলটি। আজ ইংল্যান্ডের সামনেও নিউজিল্যান্ডের ওই চেহারা দেখা গেলে অবাক হব না।
ইংল্যান্ড অবশ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে ভয় পাবে না। কারণ তাদের একজন জো রুট আছে। ও একাই দলকে উৎসাহিত করতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রুট এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোহলি দেখিয়ে দিয়েছে পরিপূর্ণ ব্যাটিং কী করতে পারে। তবে নিউজিল্যান্ডের কাছেও রুটের উত্তর আছে—কেন উইলিয়ামসন। তার টাইমিং-প্লেসিং সবই দুর্দান্ত। ক্রিজে ভয়ংকর। ও নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে স্থিরতা এনে দিয়েছে।

তবে সবকিছুই নির্ভর করছে উইকেটের ওপর। কোটলার উইকেট তার ধীরগতির জন্য বিখ্যাত। এখানে বল অনেক নিচু হয়ে আসে। এই প্রতিযোগিতায় ব্যাটসম্যানদের বল ব্যাটে পেতে ভুগতে হচ্ছে। দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে বাকি সবক্ষেত্রেই একই ঘটনা।

আর মাত্র তিনটি ম্যাচ বাকি। এবার অন্তত স্বাভাবিক কিছু পিচে খেলা দেখার আশা করি, যেখানে বলের গতি, বাউন্স ঠিক থাকবে। দর্শক তখনই খেলা উপভোগ করবে, যখন খেলাতে দুই পক্ষই সমানে সমান হবে। প্রথম বল থেকেই যদি বল ঘোরা শুরু করে, তাহলে সেটি সম্ভব নয়। (পিচ সল্যুশন আর)-প্রথম আলো

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে