বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৬, ০৬:১৩:৫৯

‘তাসকিনদের ঢাকা লীগে না খেলালেই ভালো হতো’

‘তাসকিনদের ঢাকা লীগে না খেলালেই ভালো হতো’

স্পোর্টস ডেস্ক : অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির ওপর নিষেধাজ্ঞার খক্ষ নেমে আসার পর কিছুটা নড়েচড়ে বসার ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ওয়ানডে টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে চাকিং রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। চাকিং রোধে একটি টেকনিক্যাল কমিটিও করবে বিসিবি।

তবে ঢাকা লীগের কোচ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা মনে করেন, আইসিসি যে তিন ক্রিকেটারের বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ করেছে তাদের ঢাকা লীগে না রাখাই উচিত ছিল। এ সময়টায় তাদের পুনর্বাসনের মধ্যে রাখলে সেটাই ক্যারিয়ারের জন্য বেশি ভালো হতো। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সময় সঞ্জিত সাহা ও টি-২০ বিশ্বকাপের সময় তাসকিন এবং সানির বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ করে আইসিসি।

ঢাকা লীগে ক্লাবগুলো নিজেদের স্বার্থ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। বোলাররা যদি মার খেতে থাকেন তাহলে ক্লাবগুলো তাদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাবে না। তাদের শুধরানোর জন্য ক্লাবগুলো কোচদের নির্দেশ দেবে না। এগুলো দেখার জন্য মাঠে আম্পায়ার থাকবেন। কিন্তু এ আম্পায়াররাই তাসকিন-সানিদের ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বোলিং অ্যাকশনের সমস্যা ধরতে পারেননি। এ টুর্নামেন্টে কি সমস্যাগুলো তাদের চোখে পড়বে? এ টুর্নামেন্টে বাদ রেখে তিন ক্রিকেটারকে যদি পুনর্বাসনের মধ্যে রাখা হতো, তাহলে দ্রুতই তাদের ত্রুটিগুলো ঠিক করে ফেলা যেত বলে মনে করছেন সাবেকরা। তবে কেউ কেউ মনে করছেন, ঢাকা লীগে খেলার মাধ্যমেই তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া

এগিয়ে নেয়া সম্ভব। এ বিষয়ে সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাসকিন-সানিরা নিষিদ্ধ, কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে বিসিবি যেটা ঠিক মনে করবে সেটাই মানতে হবে। এক্ষেত্রে বিসিবি হয়তো চিন্তা করেছে, টুর্নামেন্টে খেললে তাদের ভালো হবে।’ তিনি বলেন, ‘তবে রিহ্যাবের মধ্যে রাখলে তাদের ভুলগুলো দ্রুতই সংশোধন করা যেত।’

এদিকে ঢাকা লীগের এক কোচ বলেন, ‘একটা মৌসুম না খেললে খুব বেশি সমস্যা হতো না। তাদের আলাদা করে ভুলগুলো ঠিক করে দিতে পারলে ক্যারিয়ারের জন্য সেটাই ভালো হতো। বোলাররা চাকিং করছে কিনা, তা নিয়ে মাথা ঘামাবে না কোচরা। সবার দৃষ্টি থাকবে ভালো বোলিংয়ের দিকে। তাহলে কীভাবে ওই বোলারের অ্যাকশন ঠিক আছে কিনা, তা বুঝতে পারবে?’

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশন ধরা পড়ে সঞ্জিত সাহার। তাকেও এই লীগে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া অনেক ক্রিকেটারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই আসরে বিসিবি টেকনিক্যাল টিম করবে আম্পায়াররা যদি কোনো বোলারের বোলিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তারপর। আম্পায়াররা রিপোর্ট করলে সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে টেকনিক্যাল টিম গঠন করা হবে। ব্রাদার্স ইউনিয়নের কর্মকর্তা আমিন খান বলেন, ‘টেকনিক্যাল টিম করবে বোর্ড। আম্পায়াররা যখন কোনো বোলারের বোলিং নিয়ে রিপোর্ট করবে, সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে টেকনিক্যাল টিম এ রিপোর্ট রিভিউ করবে। এবং সেগুলো শুধরানোর ব্যবস্থা করবে।’

এ প্রসঙ্গে সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা বলেন, ‘যদি আম্পায়ার ও কোচরা চিহ্নিত খেলোয়াড়দের ওপর বেশি নজর রাখেন, তাহলে তাদের পুনর্বাসনের কাজটা এ লীগের মাধ্যমেই হতে পারে।’ বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে বাঁ-হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক প্রথম বোলিং অ্যাকশনের হন্য নিষিদ্ধ হন। কিন্তু টানা চেষ্টায় অ্যাকশন শুধরে আবারও জাতীয় দলে ফেরেন তিনি। সোহাগ গাজীও বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। কিন্তু এখনও তিনি পুরো ফর্মে ফিরতে পারেননি। পেস বোলার আল-আমিন হোসেন অবশ্য পরীক্ষায় পাস করে দুর্দান্ত বোলিংই করছেন। -যুগান্তর

২০ এপ্রিল ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে