স্পোর্টস ডেস্ক : রবিচন্দ্রন অশ্বিন! বাংলাদেশ হোক বা শ্রীলঙ্কা, ভারতীয় দলের সাফল্যে তার অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। মাসখানেক আগে শ্রীলঙ্কায় বিরাট কোহলিদের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়কে তো অনেকে বলেন ‘অশ্বিন শো’। সেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সামনে এ বার দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জ। তার জন্য নিজেকে কী ভাবে প্রস্তুত করছেন জানালেন একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।
যিনি শ্রীলঙ্কা সিরিজে ২১ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডের পরও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে করা বোলিংকে এগিয়ে রাখছেন। ‘‘আমার সবচেয়ে কমপ্লিট পারফরম্যান্স বলতে বাংলাদেশে ফতুল্লার কথাই বলব। দু’দিন ধরে, হয়তো তারও বেশি চলেছিল স্পেলটা।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘শুরুটা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজে। ধরে রাখতে পারলে এই ফর্মটাই আমার জীবনের সেরা হয়ে উঠতে পারে।’’
তবে এই ফর্মের তুঙ্গে থাকাটা যে মোটেও সোজা ছিল না সেটাও জানাতে ভোলেননি অশ্বিন। ‘‘আমার বোলিং নিয়ে এই জ্ঞানটা দু’বছর আগেও ছিল না। অনেক সময় ক্রিকেটারদের নিয়ে বলা হয়, নিয়ন্ত্রণ নেই, ধৈর্য নেই। কিন্তু ধৈর্যটাই সব নয়। তা হলে তো যোগীরাই শুধু ভাল ক্রিকেটার হত।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘আসল কথাটা হল দ্রুত স্কিল আর কতটা জ্ঞান একজন ক্রিকেটার অর্জন করতে পারছে সেটা।’’ যার পিছনে বোলিং কোচ ভরত অরুণের অবদানের কথা বলেন অশ্বিন। ‘‘আমার এই ফিরে আসার পিছনে বোলিং কোচের বিরাট অবদান রয়েছে। আরও একটা কথা বলে রাখি। আমি কিন্তু এমনি এমনি কারও প্রশংসা করি না।’’
আর টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রীর ভূমিকা? অশ্বিন বলেছেন, ‘‘রবি শাস্ত্রীও আমার কোনও প্রশ্ন থাকলে জবাব দেন। কখনও বলেন আমি হয়তো বেশি ভাবছি। তখন পরামর্শ দেন ব্যাপারটা সহজ-সরল রাখতে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সেটা ঠিকই বলেন।’’
কথা প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর তার টেস্ট ক্রিকেটকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথাও ওঠে। অশ্বিন বলেছিলেন গত দশ-বারো মাসে তিনি এই কাজটা করছেন। বুঝতে পারছেন টেস্ট ক্রিকেট ‘ছেলেখেলা’ নয়। অবধারিত ভাবে প্রশ্ন ওঠে, তা হলে কী তিনি আগে টেস্ট ক্রিকেটকে ছেলেখেলা মনে করতেন? অশ্বিন বলে দেন, ‘‘না সেটা কখনও ভাবিনি। কখনও টেস্ট ক্রিকেটকে ধরে নিয়েছি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বৃহত্তর রূপ। যে বোলিংটা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে করেছি, সেটাই টেস্ট ক্রিকেটেও করার চেষ্টা করেছি। কেন না অনেকেই আমায় বলেছিল খুব বেশি কিছু বোলিংয়ে পাল্টানোর প্রয়োজন নেই।’’
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি