শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১৬, ১২:৪৮:৫৯

কেন তিনি অভিমানী?

কেন তিনি অভিমানী?

স্পোর্টস ডেস্ক: আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই ক্রিকটে প্রেমিদের মনে অন্যরকম উওেজনা কাজ করে।চিরশত্রুদের বিপক্ষে জয় পাওয়ায় দারুন খুশি মোহামেডানের কর্মকর্তারা। এভাবে  চিরপ্রতিদ্বন্দিকে হারালে কে না খুশি হয়।কিন্তু এমন জয়ের পরও খোজ মিলছে না মোহামেডান দলপতি মুশফিকুর রহিমের। কোথাও তিনি? মোহামেডানের এক কর্মকর্তার কাছে সাংবাদিকরা ড্রেসিংরুমে খবর পাঠালেন। মুশফিক ওই কর্মকর্তাকে সরাসরি ‘না’ করে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চান না তিনি! কিন্তু কেন?

শোনা যায়, মুশফিক নাকি বলে থাকেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ওভাবে হারার পর মিডিয়া নাকি তার বেশি সমালোচনা করেছে। সেই সমালোচনা তিনি হজম করতে পারেননি।

কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। ওই ম্যাচ হারার পর বাংলাদেশের মিডিয়া যেভাবে গোটা দলের পাশে দাঁড়িয়েছিল তা বিরল। কেননা অমন একটি সহজ ম্যাচে অবিবেচকের মতো ওই শট খেলে দলকে ডোবানোর পর অন্য কোনো দেশের মিডিয়া হলে কী লিখতো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ সেই ম্যাচটির পর দেশের কোনো শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সেভাবে মুশফিক-রিয়াদের দিকে আঙুল তোলেনি।

গত বছর মুশফিকের কিপিং ছাড়া নিয়ে অনেক কথা উঠেছিল। জাতীয় দলের কর্মকর্তারা তাকে বারবার কিপিং ছেড়ে শুধু ব্যাটে মন দিতে বলেছেন। মুশফিক মনে করেন, মিডিয়ার কারণেই তাকে ওই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তিনি কখনো কিপিং ছাড়তে চাননি। এমনকি ছাড়েনওনি।

দেশরে কোন মিডিয়া তার যোগ্যতা নিয়ে কখনো প্রশ্ন তোলেননি। বরং মুশফিক যে পরিশ্রমী খেলোয়াড় তা মিডিয়ার কল্যাণেই জেনেছে দেশবাসী। মুশফিক সবার আগে নেটে ঢোকেন, সবার পরে বের হন-এ কথা এখন আর কে না জানে।

মুশফিকের ব্যক্তিত্ব, তার ব্যাটিং দক্ষতা নিয়ে লিখতে কেউ কখনো কার্পণ্য করেননি। কিন্তু অধিনায়ক মুশফিককে নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এবং সেটা খুব যৌক্তিক। গতকালও আবাহনীকে বড় ব্যবধানে হারানো ম্যাচে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রেসবক্সে ফিসফাস হয়েছে। কেননা আবাহনী যে বিপদে পড়েছিল, তাতে তাদের দলীয় স্কোর ১৫০ পার হওয়ার কথা নয়। অথচ তারা ১৮৩তে চলে যায়!

এই যে সমালোচনা তা কিন্তু ব্যক্তি মুশফিকের উদ্দেশ্যে নয়। তার অধিনায়কত্বের কয়েকটি সিদ্ধান্তের মাত্র। তিনি নিশ্চয়ই এসব বোঝেন। তার মতো মানুষের অবশ্য না বোঝার কথাও নয়।সুত্র-ডেইলি স্টার
১৩ মে ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/তারিকুল/টিআই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে