স্পোর্টস ডেস্ক: শেখ জামাল ধানমণ্ডির দেওয়া ১৯৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমেছিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। তবে তাড়া করতে নেমে বৃষ্টির হানায় ম্যাচ গড়িয়েছে মাত্র ১৬.১ ওভার। যেখান থেকে ৩ উইকেটে ৮৩ রান তুলেছে গাজী ক্রিকেটার্স। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়িয়েছে রিজার্ভ ডে-তে।
একই স্কোর নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাটিং শুরু করবে গাজী ক্রিকেটার্স। জয়ের জন্য বৃহস্পতিবার তাদের দরকার ১১৩ রান। গাজীকে এই রান টপকাতে হবে ২১.৫ ওভারে। এনামুল হক বিজয় ৩৬ ও অধিনায়ক অলোক কাপালি ১৪ রানে অপরাজিত আছেন।
বৃষ্টির কারণে ৩৮ ওভারে নামিয়ে নিয়ে আনা ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি গাজীর। দলীয় ৩৯ রানে বিদায় নেন ওপেনার শামসুর রহমান। এরপর দ্রুত ফেরেন মেহেদী হাসান ও সাঈদ আনোয়ার জুনিয়র। এরপর এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে যোগ দেন অলোক কাপালি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বেশি সময় খেলা হয়নি তাদের। ১৬.১ ওভারে আবারও বৃষ্টি হানা দেয়। ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডে-তে।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করে শেখ জামাল। উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন জয়রাজ শেখ ও সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস খেলা আবদুল্লাহ আল মামুন। এ দুজন ফেরার পর অবশ্য সাবলীল ব্যাটিং করতে পারেনি জামাল। ছিল বৃষ্টির উৎপাতও। ২৯.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৫ রান তোলার পর বৃষ্টি শুরু হয়।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর পৌনে দুইটায় আবারও ম্যাচ মাঠে গড়ায়। ম্যাচ কমিয়ে নিয়ে আসা হয় ৩৮ ওভারে। খুব বেশি ওভার বাকি না থাকায় হাতখুলেই খেলতে চেয়েছেন জামালের সব ব্যাটসম্যান। কিন্তু গাজীর পেসার মোহাম্মদ শরিফের বোলিং তোপে সেটা সম্ভব হয়নি।
৩৪তম ওভারে হ্যাটট্রিক করে বসেন ডানহাতি এই পেসার। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে তারা। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে গাজীর টার্গেট দাঁড়ায় ১৯৬ রান।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের মধ্যে মোহাম্মদ শরীফ সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া সাঈদ আনোয়ার জুনিয়র দুটি ও মুস্তাফিজুর রহমান একটি উইকেট নিয়েছেন।
১৮ মে,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস