শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬, ১২:৫১:৩৬

পেলে-ম্যারাডোনা এখন বন্ধু!

পেলে-ম্যারাডোনা এখন বন্ধু!

স্পোর্টস ডেস্ক: পেলে-ম্যারাডোনা দুই চিরশত্রু। তাদের মধ্যে সম্পর্ক কখনোই ভাল ছিল না।একটা সময় পেলে-ম্যারাডোনার মুখ দেখাদেখিই প্রায় বন্ধ ছিল।একে-অপরকে খোচা না দিলে মনে মনে হয় রাতে ঘুম হতো না। তাদের সম্পর্ক বরাবরই সাপে নৈউলে ছিল।অথচ ২০১৬ ইউরোর আগে একটা প্রদর্শনী ম্যাচে দুজন একে অন্যকে জড়িয়ে ধরলেন!

বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ের নির্বাচনের কথা তো অনেকেরই মনে থাকার কথা। অনলাইনের ভোটে সেরা হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু ফিফার দাবি, অনলাইনের ভোটাররা অতীতের খেলোয়াড়দের ঠিকমতো মূল্যায়ন করতে পারেনি। পরে ফিফা ম্যাগাজিনের পাঠকদের ভোট নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আবার বিচারকদের ভোটে জয়ী হন পেলে। দুজনকেই পরে একসঙ্গে সেরা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ম্যারাডোনা ওই ব্যাপারটার ঝাল সুযোগ পেলেই ঝেড়েছেন। পেলে যে কারচুপি করে জিতেছেন, সে দাবিও করেছেন। পেলেও সুযোগ পেলে পালটা হুল ফোটাতে ছাড়েননি। দুজনের দ্বন্দ্বটা তখন থেকেই চরমে পৌছেছে।

কাল ম্যারাডোনা বলেন, ‘পেলেকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমরা জানি তিনি কী, এবং সবসময় কী হয়ে থাকবেন। তাঁর মতো আইকন আমাদের আরও দরকার’— কথাগুলো ম্যারাডোনার, বিশ্বাস করতে কষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু কাল সত্যিই ম্যারাডোনা এসব বলেছেন।

পেলেও ম্যারাডোনাকে সেই প্রশংসা ফিরিয়ে দিয়েছেন, ‘এখানে শান্তির বার্তাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার বন্ধু ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে ধন্যবাদ এরকম একটা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আর যেসব খেলোয়াড় এখানে এসেছেন তাদেরও বড় একটা প্রশংসা প্রাপ্য।’ পেলে ম্যারাডোনাকে ‘বন্ধু’ ডাকছেন, কিছু দিন আগেও তো ব্যাপারটা অকল্পনীয় ছিল!

ম্যারাডোনা অবশ্য ৩০ মিনিটের ম্যাচে অল্প কিছু সময়ের জন্য মাঠে নেমেছিলেন। তবে অস্ত্রোপচারের ধকল থেকে সেরে উঠতে থাকা পেলে নামেননি, ডাগআউটে কোচের ভূমিকাতেই ছিলেন। উয়েফা ও একটা সুইস ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এই দাতব্য ম্যাচ আয়োজন করেছিল। সেখানে বেবেতো, ক্ল্যারেন্স সিডর্ফ, ফার্নান্দো হিয়েরো, হার্নান ক্রেসপো, রিও ফার্ডিনান্ডদের মতো তারকারা মাঠে নেমেছিলেন।
১০ জুন ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/তারিকুল টিআই

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে