স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের দাবাকে বিশ্ব দরবারে তুলেছেন যিনি, তিনিই সবার প্রিয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। তিনি এতো দিন ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডে খেলছিলেন। তবে এখন তিনি তার ঠিকানা পরিবর্তন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী দাবা দলে। ‘সুযোগ-সুবিধা এবং পারিশ্রমিক বেশি পাওয়াতে ওদের প্রস্তাবটা গ্রহণ করেছেন বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
এদিকে ফিদে দাবা বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিলেও নিজের পারফরমেন্সে বেশ খুশি বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। ফেডারেশনের দৈন্য-দশা, সরকারের উদাসীনতা থেকে শুরু করে নিয়মিত টুর্নামেন্ট কিংবা কোচের অভাব, এমন হাজারো প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলেই এগিয়ে চলছে এদেশের দাবা। শুধু ভালোবাসার টানেই হয়তো খুব বেশি এগুতে পারছেনা দাবাড়ুরা। মনের কোণে চাপা ক্ষোভ নিয়ে কথাগুলো বলেন জিয়াউর রহমান।
টানা দুবার দাবা বিশ্বকাপে লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করা জিয়ার এমন বক্তব্যে সহজেই অনুমেয়, কেমন আছেন এদেশের দাবাড়ুরা। অথচ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার কিন্তু বাংলাদেশেরই নিয়াজ মোরশেদ। এরপর সময়ের পরিক্রমায় উপমহাদেশ পেয়েছে আরও কিছু গ্র্যান্ডমাস্টার।
প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে বের হয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু। অথচ বাংলাদেশের দাবা যেন হাঁটছে উল্টো পথে। গ্র্যান্ডমাস্টারদের রেটিং পয়েন্টের দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট। তা না হলে ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে ২০০৫ সালে জিয়ার রেটিং পয়েন্ট ছিল ২৫৭০। অথচ ১০ বছরের পরও দেশসেরা এই গ্র্যান্ডমাস্টারের রেটিং পয়েন্ট ২৫০০। এই সেপ্টেম্বরে বর্তমান রাশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ও ফিদে র্যাঙ্কিংয়ের দ্বাদশ দাবাড়ৃ থমাসেউইস্কির কাছে টাইব্রেকারে হেরে ২০১৫ আজারবাইজান ফিদে দাবা বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেন জিয়া।
২৪ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ