স্পোর্টস ডেস্ক: নিয়মানুযায়ী জর্দানের বিপক্ষে সর্বশেষ দলের ফুটবলারদের সুযোগটা বেশি থাকারই কথা। আবার সেই ম্যাচের পারফরমেন্স ধরলে কয়েকজনের দলে টিকে থাকা কঠিন। কিন্তু নির্বাচক যখন নতুন ইতালিয়ান কোচ ফাবিও লোপেজের তখন কিছু চমকতো থাকবেই বটেই। বিদয়ী ডাচ কোচ লোডউইক ডি ক্রুইফের 'মুখস্থ দলে' যে পরিবর্তন আসছে, তা নিশ্চিত।
৩৫ জনকে তিনটি দলে ভাগ করে বিশেষ একটি ম্যাচ শেষে কোচ বলেছেন সবার খেলা দেখে তিনি সন্তুষ্ট। তিনি আরো বলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অভিনন্দন জানাই, কারণ তারা ভালো খেলেছে। জাতীয় দলের ক্যাম্পের খেলোয়াড়দের ভালো পরীক্ষা হয়েছে, তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে আরো।' গত ১৭ তারিখ থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্প চলছে, প্রাথমিকভাবে ৪১ জনকে ডাকা হলেও ইতিমধ্যে ইনজুরির কারণে ঝরে গেছেন চারজন। আর হেমন্ত ভিনসেন্ট দিনাজপুরে লুকিয়ে ম্যাচ খেলে দলের বাইরে। অবশ্য এ মাসের শেষে ডেনমার্ক থেকে ফিরছেন জামাল ভূঁইয়া। যাঁরা ক্যাম্পে আছেন তাঁদের কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে। দুটি দলই খেলেছে একাদশ পাল্টে, তবে মাঠের আধিপত্যে এগিয়ে ছিল তরুণরাই। কিন্তু ম্যাচ জিতেছে জাতীয় দলের ক্যাম্প ৬৫ মিনিটে শাহেদের (জুনিয়র) গোলে। তাদের সৌভাগ্য যে প্রথমদিকে মান্নাফ রাব্বি ও ইব্রাহিম দু-দুবার প্রাথমিক জাতীয় দলের জালে বল পাঠালেও বাতিল হয়ে গেছে অফসাইডের ঝাণ্ডায়।
তবে এই জয়কে বড় করে দেখার কিছু দেখছেন না লোপেজ, 'ম্যাচের ফলের গুরুত্ব তেমন নেই আমার কাছে। আমি দেখছিলাম খেলোয়াড়দের মুভমেন্টগুলো, তাদের টেকনিক্যাল স্কিল এবং ট্যাকটিক্যাল মুভগুলো কী রকম হচ্ছে।' সেই দেখার ভিত্তিতেই তিনি দল ছোট করে ফেলেছেন মনে মনে, 'আমি তালিকাটা আগামীকাল জানাত পারব, সেটা দেখেই বুঝে নিতে পারবেন কারা ভালো খেলেছে।' নতুন দায়িত্ব নেওয়া ৪২ বছর বয়সী এই কোচের প্রথম একাদশে ছিলেন গোলরক্ষক আশরাফুল রানা, ডিফেন্ডার রায়হান, তপু বর্মন, রেজাউল, আতিকুর রহমান, মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম, মোনায়েম খান ও ইয়ামিন আহমেদ এবং তিন ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেন, নাভেদ নেওয়াজ জীবন ও জুয়েল রানা। এই একাদশে দুটো বিসদৃশ ব্যাপার আছে। লেফট ব্যাক ইয়ামিন আহমেদকে খেলানো হয়েছে মাঝমাঠে। আতিকুর রহমানকে তাঁর নিজস্ব জায়গা দিয়ে ইয়ামিনের মাঝমাঠের পারফরমেন্স পরখ করেছেন। বিস্ময়কর হলো দুই উইঙ্গারের মাঝে 'নাম্বার নাইন' পজিশনে একদম নতুন নাভেদ নেওয়াজকে খেলানো। যেখানে ক্রুইফ বরাবরই জাহিদ হাসানকে খেলিয়েছেন সেখানে নতুন কোচের পরীক্ষা বিজেএমসির তরুণ স্ট্রাইকারকে দিয়ে! তাঁর উচ্চতা এবং প্র্যাকটিসে মুভমেন্টগুলো দেখেই নাকি কোচের ভালো লেগেছে। কালকের ম্যাচেও খারাপ খেলেননি। একবার বক্সের ভেতর ঢুকেই দারুণ এক শট নিয়েছেন কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দলের গোলরক্ষক জিকোর অসাধারণ সেভে বলটি জালে পৌঁছেনি। তিনি যে কোচের বিকেএসপিগামী ছোট তালিকায় থাকছেন, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
২৫ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ