মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬, ০৯:১৫:০৩

‘আরেকটি বিশ্বকাপ তো খেলতেই পারতেন মেসি’

‘আরেকটি বিশ্বকাপ তো খেলতেই পারতেন মেসি’

স্পোর্টস ডেস্ক : শচীন টেন্ডুলকার ১৯৯২ সালে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। এর পর নিজে ভাল খেললেও দেশের হয়ে ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭-এর বিশ্বকাপ জিততে পারেন নি। অবশেষে ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত আসরে দেশের হয়ে খেলে বিশ্বকাপ হাতে পান তিনি। অর্থাৎ ছয়টি বিশ্বকাপ খেলার পরে শিরোপা হাতে পেয়েছিলেন টেন্ডুলকার পরবর্তীকালে শচীন স্বয়ং বলেছিলেন, বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল অনেক বছর।

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরের ফাইনালে চিলির কাছে হেরে যাওয়াই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আর্জোন্টিনা ফুটবল দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিানার ফুটবল কিংবদন্তি ম্যারাডোনা, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত মেসিকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছেন। গোটা বিশ্বের ভক্তদের অনুরোধে যদি শেষপর্যন্ত মেসি সিদ্ধান্ত বদলে করে মাঠে ফেরেন তাহলে খুশি হবেন সবাই।

খেলোয়াড়জীবনে সাফল্য ও ব্যর্থতা হাত ধরাধরি করে হাঁটে। কখনও সাফল্য এসে ধরা দেয়। আবার কখনও ব্যর্থতাই সঙ্গী হয়। মেসির ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে দারুণ সফল। অথচ দেশের জার্সিতে তিনি সফল নন। এমনও অনেক ফুটবলার রয়েছেন যারা দেশের হয়ে বিশ্বকাপ না জিতেও সেরা ফুটবলারের মুকুট পরেছেন। এই তালিকা যথেষ্ট লম্বা।

এখন পর্যন্ত মেসি দেশের হয়ে মাত্র তিনটি বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু বিশ্বকাপ তার ধরাছোঁয়ার বাইরে। সামনে ২০১৮-র রাশিয়া বিশ্বকাপ। তার আগেই মেসি জানিয়ে দিলেন, অনেক হয়েছে আর নয়।

টেন্ডুলকার যদি শিরোপারর জন্য ছয়টি বিশ্বকাপ খেলতে পারেন তবে মেসি কেন তিনটি বিশ্বকাপ খেলেই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন। অপেক্ষার ফল কিন্তু ভালই হয়। মেসির উচিত রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে তৈরি করা। হয়তো সেই বিশ্বকাপেই মেসির হাতে উঠবে অমূল্য বিশ্বকাপ। টেন্ডুলকারের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছিল।
২৮ জুন ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এমকেএইচ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে