কিশোরগঞ্জ থেকে : অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী ও স্ত্রীর ভাইয়ের স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী শওকত মিয়া। শনিবার কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরুই ইউনিয়নে পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়ায় এ দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এলাকাবাসী হত্যাকারী শওকত মিয়াকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। মো. শওকত গুরুই ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের হাজি ইসরাফিল মিয়ার ছেলে। সে ওমান প্রবাসী ছিল। পাঁচ দিন আগে দেশে এসেছেন তিনি। নিহতরা হলেন শওকতের স্ত্রী আয়েশা আক্তার (২২) ও তার স্ত্রীর ভাই মোস্তাকিমের স্ত্রী সালমা বেগম (৩০)।
তাদের দুজনকেই গলা কেটে হত্যা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীর প্রতি সন্দেহপ্রবণতা ও পারিবারিক কলহের জেরে এ দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, শওকত দীর্ঘদিন ধরে ওমানে ছিলেন। চার-পাঁচ মাস আগে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে পাশের পূর্বপাড়ার গোলাপ মিয়ার মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেন। পরে তিনি আবার বিদেশ চলে যান। গত পাঁচ দিন আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। বেলা ১১টার দিকে তার নিজ ঘরে প্রথমে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন।
পরে পূর্বপাড়া গিয়ে একই ছুরি দিয়ে হত্যা করেন স্ত্রীর ভাইয়ের স্ত্রী সালমা বেগমকে। তিনি এ সময় বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় এলাকাবাসী তাকে ধরে মারধর করে বেঁধে ফেলে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে পুলিশ পাহারায় তার চিকিৎসা চলছে।
নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহের জেরেই এ দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ তদন্তের পর জানা যাবে।
এমটিনিউজ/এসএস